দেশের উন্নয়ন ম্লান করতে সোচ্চার একটি পক্ষ : তৎপর হোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন ম্লান করতে সোচ্চার একটি পক্ষ : তৎপর হোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
কালাম আঝাদ’র কলাম : দেশের উন্নয়ন ম্লান করতে একটি বিশেষ পক্ষ অপতৎপরতা শুরু করেছে। এক্ষেত্রে এমনভাবে কাজগুলো করা হচ্ছে, যাতে দেশের ৯৫ থেকে ৯৭ শতাংশ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তো যেখানে দেশ প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে এবং বিদ্যুতের উৎপাদনও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এ পর্যায়ে কী করা হচ্ছে জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? এ পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। তাও একদিন-দুইদিন নয়। প্রায় প্রতিদিনই এক-দুইবার করে দেশের প্রায় সব জায়গায় লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে; যা গত ৬ মাস আগেও ছিলো না। ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে দেশের প্রায় সকল মানুষ। দ্বিতীয়ত, দেশে কোনও সবজিরই দাম এখন ১শ টাকা বা তার নিচে নয়। তাহলে দেশের মানুষ বাঁচবেই বা কী করে? তাও তো এই ক’দিন আগেই শেষ হলো করোনার ধাক্কা। আবার এই সবজিরসঙ্গে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা কী জানেন? চিনির দাম খুচরা পর্যায়ে এখন ৯০ টাকা এবং প্রতিনিয়তই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন হলে ‘পুরো দেশটাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করবে’। তৃতীয় বিষয়, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনা এবং বিভিন্ন দেশের বিবৃতি; আর তার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশও জঙ্গিবাদের ঝুঁকিমুক্ত নয়’ এমন মন্তব্যসহ আরও কিছু বিষয় একটি দিকেই ইঙ্গিত করছে। আর সেটি হলো জঙ্গিবাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি দেখে থাকবেন, মুহিবুল্লাহ যখন রোহিঙ্গাদেরকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বলতেন, তখন প্রায় সকল রোহিঙ্গার মাথায়ই টুপি থাকতো। কিন্তু এটা কি প্রয়োজনীয়? না, এটা প্রয়োজনীয় নয়। কারণ আমরা জানি, রোহিঙ্গারা মুসলমান হলেও তাঁরা সব সময় টুপি পড়ে থাকেন না; তাহলে কেনো একটি বিশেষ মুহূর্তে টুপি পরিধান? এর মূল কারণ বিশ্ববাসীকে দেখানো। সার্বিকভাবে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে ১০ বছর পর হলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হলো। আর এমনটিও কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায় না। সার্বিকভাবে, স্বল্প সময়েরমধ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং দীর্ঘমেয়াদে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা- এই দুই প্রক্রিয়াই কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এমন চক্রান্তের সবগুলোকেই শক্ত হাতে দমন করতে হবে আপনাকেই।