ন্যাপ এক্সপো উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ন্যাপ এক্সপো উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪’ এবং বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন। তিনি আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ন্যাপ ও বিসিডিপি উদ্বোধন করেন। খবর বাসস’র।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী; ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিয়েল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস বক্তব্য দেন।

১০৪টি দেশের প্রায় ৩৮৩ জন প্রতিনিধি এক্সপো-২০২৪ এ অংশগ্রহণের জন্য ইউএনএফসিসিসি-তে নিবন্ধন করেছেন। ঠিক এই সময় দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, এনজিও প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ ৫ শ ৫০ জন অভিযোজন বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
এই সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে প্রত্যেকে বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে পারস্পরিকভাবে উপকৃত হবে।

ন্যাপ এক্সপো হলো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম, যেখানে বিভিন্ন দেশ, সংস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারেরা এনএপি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ন্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত শূন্যতা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলো মোকাবিলায় এক্সপোতে প্রশিক্ষণ সেশনও থাকবে।

বাংলাদেশ এক্সপোতে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করবে।

বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, এই সম্মেলনে মোট ২৩টি স্টল রয়েছে যেখানে বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম প্রদর্শিত হচ্ছে। চারদিন ধরে ৩৪টি সেশনে, বিশেষজ্ঞরা রূপান্তরমূলক অভিযোজন, আর্থিক প্রক্রিয়া, অভিযোজন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন সরঞ্জাম এবং লিঙ্গ প্রতিক্রিয়াশীল অভিযোজন নিয়ে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩টি স্টলে জলবায়ু অভিযোজন সংক্রান্ত বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। বিদেশি স্টলে প্রদর্শিত ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রম থেকেও বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দেশি-বিদেশি সংস্থা তাঁদের জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম প্রদর্শনের জন্য এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।