নারীদেরকে এসপি বানানো হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী : ৫ জন পেলেন রোকেয়া পদক

নারীদেরকে এসপি বানানো হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী : ৫ জন পেলেন রোকেয়া পদক

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : একটা সময় ছিলো, নারীদের পদোন্নতি দিতে গেলেই বিভিন্ন ধরনের কথা আসতো। কিন্তু আমি এগুলো কানে নিই নি। জাতির পিতা শুধু পুলিশে কিছু নারী নিয়োগ দিয়ে গেলেও আমি তাঁর পথে গিয়ে সবক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগ দিয়েছি এবং পদোন্নতি দিয়েছি।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে পাঁচজন নারীর হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।

পদকপ্রাপ্ত পাঁচ নারী ও তাঁদের অবদানের ক্ষেত্র হলো— নারী শিক্ষায় ফরিদপুর জেলার রহিমা খাতুন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রাম জেলার অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট), নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের নড়াইল জেলার ড. আফরোজা পারভীন এবং পল্লি উন্নয়নে ঝিনাইদহ জেলার নাছিমা বেগম।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।

পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে ড. আফরোজা পারভীন নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী জাগরণের মধ্যেই আমাদের সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। নারী জাগরণের মধ্য দিয়েই ১৯৪১ সাল নাগাদ সেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য ডেলটা প্ল্যানও করে দিলাম; যাকে ভিত্তি করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেনো এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার ও ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রজেক্টের মাধ্যমে নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যেখানে উদ্যোক্তা একজন নারী এবং একজন পুরুষ। সেখানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে দেশের নারী সমাজ। আর এর মাধ্যমে স্বল্প শিক্ষিত একজন নারীও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কাজেই সারাদিন ওই ফেসবুক আর এসব না দেখে, তাঁরা যদি এই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়, ফ্রিল্যান্সিং করে, তাহলে কিন্তু সেখানে বসে সে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে। একটি প্রত্যন্ত ইউনিয়নে বসে কিছু শিক্ষা নিয়ে সে দেশে-বিদেশে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে। যেটা অনেক ছেলে-মেয়ে করে যাচ্ছে।’