পদ্মা সেতুতে একসঙ্গে জ্বললো ২০৭টি স্ট্রিট ল্যাম্প।

পদ্মা সেতুতে একসঙ্গে জ্বললো ২০৭টি স্ট্রিট ল্যাম্প।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; মুন্সীগঞ্জ : পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর এবার পদ্মা সেতুর সড়কবাতি প্রজ্জ্বালন করা হলো সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে।

সোমবার (১৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাওয়া প্রান্তে এবার একসঙ্গে জ্বালানো হলো ২০৭টি সড়ক বাতি। এতে করে মাওয়া প্রান্তের সবকটি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বললো। ফলে রাতের অন্ধকারে সড়ক বাতির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর প্রায় অর্ধেক অংশ। এর আগে জেনারেটরের মাধ্যমে কিছু বাতির পরীক্ষা করা হয়েছিলো।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য বাঙলা কাগজ ও ডনকে নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম মাওয়া প্রান্তের ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছে।

‘এর আগে, পরীক্ষামূলকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে সেতুর আলো জ্বালানো হয়েছিলো।’

‘বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়কবাতির আলো জ্বালানো হয়। খুব শিগগিরই পুরো সেতুতে একযোগে সড়ক বাতি জ্বালানো হবে।’

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর বুকে বিদ্যুৎ বাতি রয়েছে মোট ৪১৫টি। আর দুইপাশের সংযোগ সড়কে রয়েছে আরও ২ শটি বাতি। গেলো বছরের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিলো। আর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো ও বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। গত ৪ জুন বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো বাতি জ্বালানো হয়। ওইদিন সেতুর ১৪ নম্বর থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিলো। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ধাপে ধাপে সেতুর সবকটি বাতি জ্বালানো হয়।

সড়কবাতি ছাড়াও বর্তমানে সেতুর শেষ পর্যায়ের অন্যান্য কাজের মধ্যে রোড মার্কিং, হ্যান্ড রেলিং, মুভমেন্ট জয়েন্ট প্যারাপেটের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু’র উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। পরদিন থেকে সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে এ স্বপ্নের সেতু।