পাপ-পূণ্য : আব্দুল্লাহ আল ফারুক মুরাদ
এক বিষণ্ন বিকেলে পেছন থেকে
কাঁধে হাত রেখে বলেছিলে
মন খারাপ করতে নেই।
মনকে বরং বলে দাও...
আমার সব কষ্ট অসীম আকাশে ছড়িয়ে দিলাম;
একটু প্রশান্তি নিয়ে অবলীলায় মায়া ভরা মুখে অনেকটা হাসির ছলে;
নিজেকে বোঝাতে চাইবো সবকিছু সবার জন্য নয়।
ধন, মান, ঐশ্বর্য
হয়তো তোমার জন্য নয়
কারণ তুমি এসব কখনোই চাও নি
কিম্বা তোমায় ধরা দেয় নি।
তাতে কি?
তুমি যা পেয়েছো সে কি কম?
কতোজন তোমায় ভালোবাসে অকুণ্ঠ চিত্তে
কোনও তিল পরিমাণ দাবি না রেখেই।
তুমি বেশ আছো!
চলার পথে হয়তো লাঞ্ছিত অহরহ
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের দাবানলে
হয়তো লণ্ডভণ্ড অকাতরে।
একটু ভেবে দেখ!
সবাই সময়ের কাছে অসহায়
এক সময় সবকিছুই নিভে যায়
জীবনে সন্ধ্যা এলে।
তখন আর কিছুই শুনতে বা শোনানোর
সময়টুকোর বড্ড টালমাটাল ঘোরে
সবকিছুই ফিকে আর অলীক।
.
.
.
আমি জানি না...
কেনো তুমি আমায় বারবার তুলে ধর
শক্তি জোগাও বারেবার।
আমি আর হেরে গেলেও মন খারাপ করি না
কারণ সবাইকে-ই হারতে হয়
দু-দিন আগে আর পরে।
সব সময় জিততে নেই!
তাতে তোমার ভেতরের আমিত্ব
দানবে দংশিত করবে হরহামেশাই।
বরং হেরে যাও এখানে
পাপ-পূণ্যের হিসাব পরপারে।