ডন প্রতিবেদন : বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়ন এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণভবনে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা’র খসড়া উপস্থাপনা দেখার পর তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি যে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞান প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরকে এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেজন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
‘আমাদের যে নীতিমালা আছে, নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা করবো। কিন্তু এটা সব সময় সবারসঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতিরসঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বিজ্ঞান প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে যখন বিশ্ব এগিয়ে যায়, আমরা কোনোমতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না। আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা।’
‘বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইত না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এ রকম একটা সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথাও অনুষ্ঠানে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। যার ফলে আবার নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।’
‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে- ঘরেই আমরা স্কুল… এই ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি।’
বিভিন্ন এলাকায় নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সমস্ত এলাকায় স্কুল ছিল না, সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি।’
‘আমাদের নদী-নালা, খাল বিলের দেশ। ছোট ছোট শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।’