‘একটি ঘর পেলে শেখের বেটির জন্য মন খুলে দোয়া করিতাম।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; মিজানুর রহমান, নগরকান্দা (ফরিদপুর) : ভাঙা ঘর যে কোনও সময় মাথার উপর পড়ে যেতে পারে। আর এমন অবস্থায়ই দিন কাটাচ্ছেন প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধা সবজান বেগম। স্বামীহারা বিধবা এ নারীর একটিমাত্র ছেলে। আবার সেই ছেলেও ভারসাম্যহীন। তাঁর ছেলে সত্তার মোল্লার ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে। ফলে সংসারে তাঁদের আয়-উপার্জন করার মতো কেউই নেই। এমন অবস্থায় এলাকার মানুষের কাছে ‘হাত পেতে’ জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহিদ নগর ইউনিয়নের খুদুরিয়া গ্রামের মৃত রাসেদ মোল্লার স্ত্রী সবজান বেগম। তাঁর বসবাস নড়বড়ে ঘরে। ঘরটি বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে জোড়াতালি দেওয়া টিনের চালায়। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরে যেমন পানি ঢুকে, আবার ঝড় হলে তো যেনো কথাই নেই। যেনো ‘বুকটা’ আর বুকে থাকে না। সবমিলে এমন ভয় হয়, যেনো মাথার উপরই ভেঙ্গে পড়লো ঘরটি। ফলে রাতে এক টুকরো শান্তিতেও ঘুমোতে পারেন না সবজান বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর সবজান বেগম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। তবে সেই ভাতাও অজানা কারণে গত ছয় মাস ধরে পান নি তিনি। সবজান বেগম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘বয়সের ভারে লাঠি নিয়ে চলি। চোখে তেমন দেখিওনা। কোনও দিন এক বেলা খাই, আবার পানি খেয়েও থাকতে হয়। কত চেয়ারম্যান, মেম্বার হইলো, কেউ আমাগো খবর নেয় না। এখন শেখের বেটি (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা) যদি আমারে একটি ঘর দেয়, তাহলে মন খুলে দোয়া করিতাম।’