বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ নেই। গতি বেড়েছে টোল আদায়ে।

বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ নেই। গতি বেড়েছে টোল আদায়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ : রাজধানী ঢাকা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায় শুরুর দ্বিতীয় দিনে গাড়ির চাপ কম রয়েছে।

এ ছাড়া আজ শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে টোল আদায়ে গতি বাড়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

আজ বেলা ১১টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা পৌরসভার বগাইল টোল প্লাজা ফাঁকা দেখা গেছে। গতকাল শুক্রবার একই সময় এই স্থানে যানবাহনের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সারি ছিলো। তবে আজ সেখানে সুনসান ভাব। আজ সকালে গাড়িগুলো সহজে এসে টোল দিয়ে চলে যেতে পারছে।

আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরিদপুর শহর থেকে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বাসের সুপারভাইজার নূরুল ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, সকাল ৭টা ৫ মিনিটে তাঁদের বাস ঢাকার কদমতলীতে পৌঁছায়। পরে সকাল সোয়া আটটায় বাসটি যাত্রী নিয়ে আবার ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল ১০টায় বাসটি ফরিদপুর পৌর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে গেছে।

বরিশাল থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকা যাচ্ছেন আবদুল হক (৪৫)। তিনি বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘টোল দিতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লেগেছে। গতকাল অনেক ভিড় ছিলো শুনেছিলাম। কিন্তু আজ খুব ভালোভাবে টোল দিতে পেরেছি।’

টোল আদায়ে নিয়োজিত কর্মী ইব্রাহিম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, বগাইল টোল প্লাজায় আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট ১০টি টোল বুথ আছে। এর মধ্যে আজ চারটি করে মোট আটটি টোল বুথ চালু হয়েছে। বাকি দুটি বুথের কারিগরি কাজ চলছে। কাল রোববার বাকি দুটি বুথও চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। ৫৫ কিলোমিটারের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটা রাস্তা পাড়ি দিতে হলে মোটরসাইকেলকে ৩০ টাকা টোল দিতে হবে, পুনর্নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে সিডান কারকে ১৪০ টাকা, ফোর চাকা চালিত যানবাহন ও মাইক্রোবাসকে ২২০ টাকা, মিনিবাস/কোস্টারকে ২৭৫ টাকা, মিনি ট্রাককে ৪১৫ টাকা, বড় বাসকে ৪৯৫ টাকা, মাঝারি ট্রাককে ৫৫০ টাকা, ভারী ট্রাককে ১ হাজার ১ শ টাকা এবং ট্রেইলারকে ১ হাজার ৬৯০ টাকা টোল দিতে হবে।

টোল প্লাজার অ্যাডমিন ইনচার্জ আবু হোসেন জাকারিয়া বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ লাখ ৪ হাজার ৬৪০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে এ পথে গাড়ির চাপ বাড়বে। তবে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১০টি টোল বুথ চালু থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।