বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে ২০৩০ সাল নাগাদ শুল্ক সুবিধা চেয়েছে বামা

বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে ২০৩০ সাল নাগাদ শুল্ক সুবিধা চেয়েছে বামা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্প উন্নয়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানির ওপর বিশেষ শুল্ক সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বেলার্স অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা)। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বামা তাঁদের প্রস্তাবনায় জানায়, বর্তমানে ইলেকট্রিক প্রোপালশন মোটরসাইকেলের ওপর আমদানি শুল্ক ৩৭ শতাংশ, যা কমিয়ে ৩১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক মোটরকারের শুল্ক ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ শতাংশ, ইলেকট্রিক বাস ও ট্রাক আমদানিতে শুল্ক ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিকেডিতে (কম্পিট নকড ডাউড) আমদানির ক্ষেত্রে কোনও এইচএস কোড নেই। সিকেডির জন্য আলাদা এইএস কোড নির্ধারণ ও শুল্কহার ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বামা।

সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রচলিত ইঞ্জিনচালিত গাড়ির চেয়ে বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম বেশি। এ ছাড়া মানুষ এখনো ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাজারজাত করা সম্ভব হলে ভোক্তারা তা ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন। এদিকে, এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তাঁদের প্রস্তাবে হেলিকপটারসহ উড়োজাহাজ, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ, উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত আমদানি কর, মূসক, আগাম কর এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

আর বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তাঁদের প্রস্তাবে এসি বাসের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ বিদ্যমান ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা তাঁদের প্রস্তাবে এসি কেবিনের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

কোম্পানি করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, উৎস করহার কমানো, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাব শুনে তা যাচাই-বাছাই করে পর্যালোচনার আশ্বাস দেন।