ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তার প্রতিচ্ছবি : শেখ পরশ

ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তার প্রতিচ্ছবি : শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনকে উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনার প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে দনিয়া কলেজ মাঠে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র-প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করেছে, বিএনপি-জামায়াত এখন তাঁদের বিরুদ্ধাচারণ করছে। বিদেশি শক্তির উস্কানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়ে থাকলেও এই আন্দোলনের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। কারণ, দেশের একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় পণ্য বিলাসিতার জন্য নয় বরং বেঁচে থাকার জন্য ব্যবহার করতে হয়। ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা-ভাবনারই প্রতিচ্ছবি। তাই আমি বলি, নতুন প্রজন্মকে এ সকল অপপ্রচার ও দুরভিসন্ধি সম্পন্ন আন্দোলনকে প্রতিহত করতে হবে।

পরশ বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তার একটা উৎকর্ষ উদাহরণ সর্বজনীন পেনশন প্ল্যান। এই স্কিমের আওতায় দেশের সব নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। কারও বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই এখন এটিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। যাঁদের চাকরি নাই, তাঁদের জন্যও এই ব্যবস্থা। প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে চালু করা হয়েছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (স্কীম)। 

তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর পেছনে তাকালে দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি বিপরীত এবং দুর্বিষহ অবস্থা ছিলো। আপনাদের আয় কত ছিলো? শিক্ষার সুযোগ কি ছিলো? চিকিৎসার ব্যবস্থা কি ছিলো? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা কে করে যাচ্ছেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের লক্ষ্য অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্বাচন। সকলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার আছে; কাউকে বাধা দেবার প্রশ্নই উঠে না। ভিন্ন প্রার্থীর অংশগ্রহণ ছাড়া-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। যুবলীগ কোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা চায় না। বিশৃঙ্খলা এবং হট্টগোল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে এবং সংঘাত সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। যুবলীগের কেউ যদি নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও সংঘাতে জড়িত হয়, তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ছিলেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম আরিফ হোসেন, মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, হারুন অর রশিদ, সৈয়দ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান পলাশ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক এরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।