মাথাচাড়া দিতে চায় জঙ্গিরা : সংগ্রহ করছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ!

মাথাচাড়া দিতে চায় জঙ্গিরা : সংগ্রহ করছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ!

কালাম আঝাদ : দেশে আবারও বোমাবাজি করতে চায় জঙ্গিরা। সরকারের মেয়াদ যতোই ফুরিয়ে আসছে, ততোই তারা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আর মিয়ানমার এমনকি প্রতিবেশি ভারত থেকেও অবৈধপথে অস্ত্র আনছে। চেষ্টা করছে সংগঠিত হওয়ার। তাদের উদ্দেশ্য, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশে কয়েক দফায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার। পাশাপাশি নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জঙ্গিবাদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, জঙ্গিদের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। তাদের মাধ্যমে দেশকে কোনোভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেওয়া যাবে না।

সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রয়েছে মাত্র ১ বছর ২ থেকে ৩ মাস। এই সময়ের মধ্যেই জঙ্গিরা দেশকে অস্থিতিশীল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্বল করতে চায়। এক্ষেত্রে যে কোনোভাবে তারা দেশকে অশান্ত করতে চায়। পাশাপাশি তাদের টার্গেট আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো। যেখানে প্রয়োজনে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও আঘাত করতে পিছপা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, জঙ্গিরা যে কোনও নাশকতামূলক বড় কর্মকাণ্ড ঘটানোর আগে কিছুটা সময় এক ধরনের ‘চুপচাপ’ থাকে। আর এর পরপরই তারা মূলত নাশকতা করে থাকে। বর্তমানেও এমন অবস্থা চলছে বলেই জানিয়েছে জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণ করা একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।

সূত্রমতে, জঙ্গিরা মনে করছে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের জন্য বাধা। কারণ তারা এই আমলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাতে পারছে না। এ কারণে তারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে একাকার হয়ে গিয়েও নাশকতার পরিকল্পনা আঁটছে।

জানা গেছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদেরকেও ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে জঙ্গিরা। এক্ষেত্রে তারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা বিভিন্ন অনুদান নিজেদের গঠন করা এনজিও বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করে রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করতে চাইছে। এক্ষেত্রে তারা রোহিঙ্গাদের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হচ্ছে। সার্বিকভাবে আরসার সঙ্গে মিলেও কাজ করার প্রত্যয় রয়েছে জঙ্গিদের।

সূত্র আরও জানায়, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের জঙ্গিদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে। এখন তারা তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় জেনেভা ক্যাম্পগুলোর মাধ্যমেও জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে।

সূত্রমতে, দেশে বোমাবাজি করতে ইতোমধ্যে জঙ্গিরা স্প্লিন্টার এবং বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরকসহ বোমার সরঞ্জাম সংগ্রহ করে বোমা তৈরির কৌশল রপ্ত করছে এবং দেশে বোমা হামলা করার চেষ্টায় আছে।

জানা গেছে, বিদেশ থেকে জঙ্গিদের কাছে অর্থ আসছে। যার মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের দ্বারা মাদকের পাশাপাশি অস্ত্রও কিনছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে জঙ্গিরা হেরোইনের ব্যবসার সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসাও শুরু করেছে। আর এই ব্যবসার টাকা তারা অস্ত্র কিনতে ব্যবহার করছে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ব্যাপক চেষ্টায় আছে জঙ্গিরা।