ডন প্রতিবেদন : শীতে গরিব মানুষের কষ্ট বাড়ে, বয়স্ক আর শিশুদের নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়; তবে পুলিশের দুশ্চিন্তা অন্যখানে।
দেশে শীতকালে ছিনতাই ও ‘টানা পার্টির’ দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় জানিয়ে এই সময়টায় পুলিশ সদস্যদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
রবিবার (২১ নভেম্বর) মহানগর পুলিশের সদরদপ্তরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়, বেড়ে যায় টানা পার্টির দৌরাত্ম্য, এজন্য আমাদের আরো বেশি চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’
কেবল ছিনতাইকারী নয়, এলাকার ‘শান্তি-শৃঙ্খলা যারা নষ্ট করে’, তাদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়ে ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমরা চাকরি করি মানুষের নিরাপত্তার জন্য, শান্তির জন্য।’
দায়িত্ব পালনে পুলিশ কতটা যত্নবান, সেই বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকের কথা মনে করিয়ে দেন ।
‘করোনার শুরুতেই পুলিশ ফ্রন্টফাইটার হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, যেভাবে পেরেছি সাধ্য মত এদেশের মানুষের সেবা করেছি। মিডিয়াতে তা ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় পুলিশ সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।’
এবার ডিসেম্বর মাসে বড় পরিসরে রাষ্ট্রীয় আয়োজনের কারণেও পুলিশের ব্যস্ততা বাড়বে। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর। একই সময়ে শেষ হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর জোড়া আয়োজন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ডিএমপির কোথাও যেনো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সকল উপ-পুলিশ কমিশনার ও অফিসার ইনচার্জরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। টিম ডিএমপি অপরাজেয় এ বিশ্বাস যেন সকলের থাকে।’
ঢাকা মহানগরে অক্টোবর মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন পুলিশ কমিশনার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃষ্ণ পদ রায়, এ কে এম হাফিজ আক্তার, মো. মুনিবুর রহমান, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।