শেনজেনভুক্ত হয়েছে বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া

শেনজেনভুক্ত হয়েছে বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষা শেষে শেনজেন অঞ্চলে আংশিক প্রবেশ ঘটলো ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার। তবে কেবল সাগর ও আকাশপথেই শেনজেনভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আপাতত যুক্ত হতে পারছে তাঁরা। অর্থাৎ এই দু’পথেই দেশ দুটির নাগরিকেরা বিনা ভিসায় শেনজেনভুক্ত অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। খবর রয়টার্সের।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের ১৩ বছরের বেশি সময় পর রবিবার (৩১ মার্চ) আংশিকভাবে হলেও ইইউ’র অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভিসা ছাড়াই শেনজেন এলাকায় যুক্ত হলো বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া। ভ্রমণকারীরা এখন সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ভিসা এবং পাসপোর্টের প্রয়োজন ছাড়াই এ দুটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি অংশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।

অস্ট্রিয়ার ভেটোর কারণে স্থল পথে এখনো শেনজেনে যুক্ত হতে পারে নি বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া। কারণ হিসেবে বলা হয়, স্থলপথে এই দেশগুলো হয়ে সহজে ইউরোপীয় নন এমন অভিবাসীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলোতে পৌঁছে যেতে পারবেন।

রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য। তবে দেশ দুটি এতোদিন এই ভিসামুক্ত শেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হতে পারে নি।

অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ শেনজেন অঞ্চলে অবাধে চলাচল করতে পারে।

১৯৮৫ সালে শেনজেন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়। রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দেশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯টিতে। এতে ইইউ’র ২৭ সদস্যের ২৫টি অন্তর্ভুক্ত। ইইউর সদস্য না হয়েও সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিচটেনস্টেইন শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

শেনজেন অঞ্চলে দেশ দুটির আংশিক অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, ‘এটি দুই দেশের জন্যই একটি বড় সাফল্য।’

ইইউ’র প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এটি এই এলাকার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অবাধ চলাচলের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম এলাকা এটি। আমরা সবাই মিলে আমাদের সমস্ত নাগরিকের জন্য একটি শক্তিশালী, আরও ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ তৈরি করছি। 

বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কালিন স্টোয়ানোভ বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ বুলগেরিয়া শেনজেন জোনের পূর্ণ সদস্য হতে পারে। যার মানে, সড়ক ও রেলপথে যাতায়াতকারী মানুষ এবং পণ্যগুলোর জন্য সীমান্ত চেক পয়েন্ট সরিয়ে দেওয়া হবে। একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী মার্সেল সিওলাকু।