শিবালয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করতে গিয়ে পুলিশের মারধরের শিকার!

শিবালয়ে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করতে গিয়ে পুলিশের মারধরের শিকার!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে যাওয়া এক বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে শিবালয় থানায় ওই ঘটনার পর ডিউটি অফিসার এসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী জানিয়েছেন।

মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির বাড়ি শিবালয়ে। পেশাগত কারণে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকলেও তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে গ্রামের বাড়িতে দাদীর কাছে থাকে।

তাঁদের অভিযোগ, গত ২০ জুলাই ওই এলাকার রজ্জব খান নামের এক ব্যক্তি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঘটনাটি শিশুর দাদী দেখে ফেলেন। রজ্জব বর্তামানে পলাতক।

ঘটনাটি গ্রাম্য মাতবরদের জানানো হলেও ওই ব্যক্তি (ধর্ষণ চেষ্টাকারী) স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাই হওয়ায় কেউ কোনও পদক্ষেপ নেয় নি বলেই অভিযোগ মেয়ের বাবার। উল্টো তাঁকে নানাভাবে ভয়ভীতির দেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শিশুর বাবা সাংবাদিকদের জানান, ওই ঘটনার পর গত ২৪ আগস্ট থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তখন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তেরও আশ্বাস পেয়েছিলেন।

কিন্তু গত এক সপ্তাহে থানা থেকে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় মা ও মেয়েকে সঙ্গে করে শনিবার সন্ধ্যায় থানায় যান তিনি। সে সময় ওসি শাহিন সেখানে ছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি (মেয়ের বাবা) থানায় থাকা এসআই আরিফকে ঘটনা খুলে বললেও সে কোনও কথা বিশ্বাস করে নি। কথাবার্তার এক পর্যায়ে শার্টের কলার ধরে টেনে অন্য একটি রুমে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি এবং লাঠি দিয়ে আমাকে পেটায় আরিফ। আমার মাথা, হাত ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে।’

ওসি জানান, ওই ঘটনা জানাতে আহত অবস্থাতেই মা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে রাতে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান ওই ব্যক্তি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী ধর্ষণ চেষ্টা এবং মারধরের ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বাঙলা কাগজ ও ডনকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এসআই আরিফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।’

ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেই জানিয়েছেন ওসি মো. শাহিন।