১৩০ টাকার খোলা সয়াবিন বিক্রি করছিলো ১৮০ টাকায়!

১৩০ টাকার খোলা সয়াবিন বিক্রি করছিলো ১৮০ টাকায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; কক্সবাজার : চট্টগ্রামের কর্ণেল হাট বাজারের ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল কিনেছিলেন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। কিন্তু বুধবার (১১ মে) সেই তেল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। আগের দামে কেনা তেল নতুন দামে বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। বেলা ১১টায় কর্ণেল হাট বাজারে এ অভিযান শুরু করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিলো। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, আইয়ুব আলীর জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের দোকান থেকে চার হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। আগের দামে ১৩০-১৩৫ টাকায় তিনি এসব তেল কিনেছিলেন। কিন্তু এখন সরকার নির্ধারিত বর্ধিত মূল্যে বিক্রি করছিলেন। এ জন্যই তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পুরোনো দরে সয়াবিন তেল বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে আইয়ুব আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ক্রয়াদেশ আগের হলেও তেল পেয়েছেন তিন দিন আগে। তাই বর্ধিত দরেই তেল বিক্রি করছিলেন। একই বাজারের বিনিময় স্টোরের মালিক পরিমল দেবকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারণ, তিনি ১৭০ লিটার তেল গুদামে রেখে বর্ধিত দামে বিক্রি করছিলেন। কিন্তু দোকানে কোনো তেল রাখেন নি। ফয়েজ উল্যাহ বলেন, পরিমল গুদামে তেল রেখে গোপনে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। এটাই তাঁর অপরাধ। এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের দিল্লি লেইন এলাকার একটি দোকানের ৩টি গুদাম থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে অধিদপ্তর। পরে দোকানিকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ তেল আশপাশের দোকান ও ভোক্তাদের কাছে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়। আগের দিন রোববার নগরের দুই নম্বর গেটের কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের খাজা স্টোর নামের একটি দোকানের নিচে থাকা গুদামের এক হাজার লিটার তেলের খোঁজ পায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। পরে এসব তেল আশপাশের দোকানি ও ক্রেতাদের কাছে গায়ের দামে বিক্রি করা হয়। শনিবার রাতে ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের এক দোকানির বাসা থেকেও ২ হাজার ৩২৮ লিটার তেল জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আলমগীর। তাঁকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। ৫ মে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয় ৯৮৫ টাকা, যেটির আগের দাম ছিল ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা ও পাম তেলের দাম ছিল ১৩০ টাকা।