কালাম আঝাদ : বাঙলার কাগজ একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের নাম

কালাম আঝাদ : বাঙলার কাগজ একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের নাম

শুভেচ্ছাবার্তা :: বাঙলার কাগজ আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব। অনেকেই বলবেন, কোনও কিছু নিয়ে অহঙ্কার করতে নেই, কিন্তু আমি বলবো, আমার অহঙ্কার করার বিষয় রয়েছে, আর সেটি হলো : বাঙলার কাগজ। কারণ বাঙলার কাগজ এমন একটি ভালো কাজের প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্দ্বিধায় যে কোনও খবর আমরা প্রকাশ করি। কারণ তাতে যদি মানুষের উপকার হয়, তখন আমাদের একটি খবর প্রকাশ করতে অসুবিধা কোথায়? এমনও বিষয় হয়েছে, আমরা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে দিয়ে ভালো কাজের নিউজ করিয়েছি এবং যা অব্যাহত রয়েছে ও অব্যাহত থাকবে। বাঙলার কাগজে নিউজের ফলে অনেক মানুষ তাঁদের ঘর পেয়েছে, অনেক মানুষ চিকিৎসা পেয়েছে, অনেক মানুষ অর্থ সহায়তা পেয়েছে, অনেক অপরাধের তাৎক্ষণিক দমন শুরু হয়েছে, জঙ্গিবাদ রোধের ব্যাপারে আগাম তথ্য পেয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ হয়েছে, কাউকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফোন দিয়েছেন, ব্যাংক জালিয়াতদের ব্যাপারে খবর হয়েছে- মোটকথা, এই ৩ বছরে আমরা অনেক অনেক বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর তাতে সহযোগিতা করেছেন আমাদের সংবাদকর্মীরা। আমাদের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনেক গোপন বিষয় উদ্ঘাটিত হওয়ার বেশকিছু নজির রয়েছে। মোদ্দাকথা, বাঙলার কাগজে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ একটি আলাদা ক্যাটাগরিই রয়েছে। আর এই ক্যাটাগরির খবরগুলো পড়লেই আমরা বুঝতে পারবো- এখনও মানুষ মানুষের জন্য কাজ করেন, শুধু প্রয়োজন- যে কোনও বিষয় তুলে ধরা। আর সেই তুলে ধরার কাজটিই করেছে বাঙলার কাগজ।

বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বলতে গেলে আমি বলতে পারি, সংবাদপত্রের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিজ্ঞাপন আসে ব্যাংকিং সেক্টর থেকে। আর এই ব্যাংকিং সেক্টরের বেশিরভাগ পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তারাই জালিয়াত। তাঁরা স্বল্প কয়েক জায়গায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে থাকে, আর বাকি অর্থগুলো লোপাট করে দেন। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হলে তো কথাই নেই। বছর শুরুর আগে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ক্যালেন্ডারগুলোও তাঁরা বিক্রি করে দেন।

এমন অবস্থায় সংবাদপত্রে ছাপা খবরের কাগজের টেকা যখন বড় দায়, তখন অনলাইন নিউজ এজেন্সিরও টেকাটা এক রকম দায় হয়ে পড়েছে। কারণ প্রথমত, একটি নিউজ এজেন্সি করলে প্রথমে ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের টাকা দেওয়ার পর বছর বছর সেটি রিনিউ করা লাগে। আর কিছু না কিছু সংবাদকর্মী তো রাখতেই হয়। সুতরাং মাস শেষে একটি অঙ্ক গুনতেই হয়। আর এই অবস্থায় যেগুলো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এবং দেশের জন্য কাজ করে, তাঁদের বিজ্ঞাপন না দেওয়াটা এক ধরনের অন্যায়। আবার কিছুক্ষেত্রে দেখা যায়, ১ বছরের বিজ্ঞাপন দিলেও ৩ মাসের বিল দেওয়ার পর এরপর ৩ মাস অন্তর অন্তর বিল পেতে ঘর্মাক্ত হতে হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কারণ আমরা যখন একটি প্রতিষ্ঠানের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে থাকি, তখন সেই প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের প্রচার হয়। তো আপনি গুগলে কিংবা ফেসবুককে বিজ্ঞাপন দিলেও তো টাকা দিতে হয়, আর আমাদের নিউজ এজেন্সিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর, তার বিল দিতে এতো সমস্যা হয় কেনো। আবার ওরা অগ্রীম নিয়ে নেয়, আর আমাদেরকে পরে বিল দিতেও সমস্যা? অথচ একজন নিউজ এজেন্সির কর্তাব্যক্তি ধারদেনা করে তাঁর প্রতিষ্ঠান চালান, আর সঠিক সময়ে বিলটি না পেলে তিনি বিপদে পড়ে যান। একইসঙ্গে বাঙলার কাগজের মতো নিউজ এজেন্সিকে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত এবং এটিকে অনেক বেশি বাড়ানো উচিত বলেই আমি মনে করি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাঙলার কাগজ যে কোনও দেশ থেকে যে কোনও ভাষায় পড়া যায় এবং একইসঙ্গে শোনাও যায়। যে কোনও দেশ থেকে পড়া যায় এবং একইসঙ্গে শোনাও যায়, বাংলাদেশে এমন দ্বিতীয় নিউজ এজেন্সি রয়েছে কি-না, আমার জানা নেই।

বাঙলার কাগজ ২০২০ সালের ২০ মে যাত্রা শুরু করে। সেই সময় বাঙলার কাগজের নাম ছিলো মেঘনা নিউজ, পরে আমরা সেটিকে বাংলা কাগজ, তারপর বাঙলা কাগজ এবং সর্বশেষ বাঙলার কাগজ করেছি। তবে আমাদের সম্পাদকীয় নীতি প্রথমদিন থেকেই একই ছিলো। আর আমি দীর্ঘদিন ব্যাংক বিটে সাংবাদিকতা করার অংশ হিসেবে আমাদের নিউজ এজেন্সিতে কিন্তু ব্যাংক নিয়ে বেশকিছু এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাঙলার কাগজের বর্তমান যে পাঠকপ্রিয়তা, সেটি একদিনে তৈরি হয় নি; তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সুখের খবর হচ্ছে, বাঙলার কাগজের পাঠকপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

সম্পাদক হিসেবে অন্তত আমি এ কথা বলতে পারি, আমি সাংবাদিকতার পাশাপাশি যা-ই করি না কেনো, বাঙলার কাগজকে সঙ্গে নিয়েই করবো; আর বাঙলার কাগজকে সঙ্গে নিয়েই আপনাদের এগিয়ে নিয়ে যাবো।

আপনারা বাঙলার কাগজের সঙ্গে শুরু থেকে ছিলেন, সেজন্য আপনাদেরকে অনেক বেশি শুভ কামনা জানাই।

আমার সংবাদকর্মীদের সকলকে আন্তরিক অভিবাদন জানাই।

আমার বিজ্ঞাপনদাতাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

আর সকল শুভাকাঙ্ক্ষীকে জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অফুরাণ শুভেচ্ছা।

বাঙলার কাগজের চতুর্থ জন্মদিনে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা এবং শুভেচ্ছা।

শুভেচ্ছান্তে,
কালাম আঝাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাঙলার কাগজ