উপজেলার ভোটে বাড়লো জামানত : সহজ হলো স্বতন্ত্র প্রার্থিতা
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন, যাতে বেড়েছে জামানতের অঙ্ক।
চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী এনে বুধবার (২০ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামী উপজেলা নির্বাচনেই এসব বিধান কার্যকর হবে।
সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিলো এক অষ্টমাংশ বা ১২ শতাংশের কিছু বেশি।
এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন তাঁরা।
নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পস্ট করা হয়েছে সংশোধিত বিধিমালায়।
আগামী মে মাসে চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের আয়োজন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোট হবে ৪ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ২৫ মে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তাঁরা এবার স্থানীয় সরকারের কোনও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।
এর মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করলো ইসি। এতোদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের যে তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো, এবার তা দিতে হবে না।
তফসিল বৃহস্পতিবার :
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার কমিশন সভা রয়েছে। ভোটের তারিখ তো আগেই জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল কাল হতে পারে।
নির্বাচন বিধি ও আচরণবিধি সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনে ভোটাররা অনেক সময় স্বাক্ষর দিতে চায় না বলে অনেকে জাল স্বাক্ষর জমা দেয়। সে কারণে কমিশন এ নিয়ম তুলে দিতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, দলগুলো আগের মতোই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারবে, দলীয় মনোনয়ন না থাকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে) এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য তো সময় দরকার। আর এটা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে করতে হবে। সেজন্য সময় আছে।
রঙিন পোস্টারের অনুমতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন সাদাকালো পোস্টার ছাপানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে প্রার্থীদের অভিযোগ ছিলো। তাই রঙিন পোস্টারের বিধান আনা হয়েছে।