ডন প্রতিবেদন : চারিদিকে নেতিবাচক খবরের ছড়াছড়ি। এরমধ্যে পাওয়া গেলো দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মতো ভালো একটি সংবাদ।
চোটের জন্য কাজ করতে পারেন নি বিধায় সাড়ে ৪ মাসের বেতন ফেরত দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের ফুটবলে। দৃষ্টান্তটা স্থাপন করেছেন বাফুফের নারি দলের গোলকিপিং কোচ মোহাম্মদ সেলিম মিয়া।
মূল জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পেলেও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলেছেন মোহাম্মদ সেলিম। ছিলেন ১৯৯০ সালে বিকেএসপির ডানা-গোথিয়া কাপ দলের সদস্য।
এই বছর জাতীয় নারি দলের গোলকিপার কোচ হিসেবে বাফুফের সঙ্গে এক বছরের মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।
প্রথম আড়াই মাস নিজের কাজটি ভালোই চালিয়ে নিয়েছেন। মার্চের মাঝামাঝিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেলের টেন্ডন ছিঁড়ে যায় তাঁর।
ফলে কোচিং থেকে বিরত থাকতে হয় সেলিমকে। সে সময়ের প্রাপ্ত বেতন বাফুফের কোষাগারেই ফেরত দিয়েছেন।
বাফুফে ভবনে দাঁড়িয়ে সেলিম বলেন, ‘চোটের জন্য মার্চের মাঝামাঝি থেকে দলেরসঙ্গে থাকতে পারি নি। তাই জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৪ মাসের বেতন অফিসের কোষাগারে ফেরত দিয়েছি।’
টাকার অঙ্কে তিনি ফেরত দিয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এখনো দলেরসঙ্গে অনুশিলনে যোগ দিতে পারেন নি সেলিম।
বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালকও।