আত্রাইয়ে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ

আত্রাইয়ে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাইয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কাযর্ক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৩-২৪ মৌসুমের রোপা আমন ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৪ হাজার ৪৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের মাঝে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ অভিজিৎ কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্জিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. এবাদুর রহমান প্রামানিক। 

বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ (বিসিএস) তাপস কুমার রায়। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী নৃপেন্দ্র নাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী, আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক সরকার প্রমুখ। 

উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সরিষা বীজ ১ হাজার ৬৮০ জনকে ১ কেজি করে, ডিএপি ১০ কেজি করে এবং এমওপি ১০ কেজি করে প্রদান করা হয়। আর ২৫০ জনকে ২০ কেজি করে গমের বীজ, ডিএপি ১০ কেজি করে, এমওপি ১০ কেজি করে। ১ হাজার ৯৬০ জনকে ২ কেজি করে ভুট্টা বীজ, ডিএপি ২০ কেজি করে, এমওপি ১০ কেজি করে, ৪০ জনকে ১০ কেজি করে চীনা বাদামের বীজ, ডিএপি ১০ কেজি করে, এমওপি ৫ কেজি করে, ৬০ জনকে ১ কেজি করে পেঁয়াজ বীজ, ডিএপি সার ২০ কেজি করে, এমওপি ১০ কেজি করে, ২শ জনকে ৮ কেজি করে খেসারি বীজ, ডিএপি সার ১০ কেজি করে, এমওপি ৫ কেজি করে, ১৩০ জনকে মসুর ডাল বীজ ৫ কেজি করে, ডিএপি সার ১০ কেজি করে, এমওপি ৫ কেজি করে, ৫০ জনকে ১ কেজি করে সূর্যমুখী বীজ, ডিএপি সার ১০ কেজি করে, এমওপি ১০ কেজি করে, ৫০ জনকে ৫ কেজি করে মুগডালের বীজ, ডিএপি সার ১০ কেজি করে এবং এমওপি ৫ কেজি করে প্রদান করা হয়।

আত্রাই উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা ইরি-বোরো ধান চাষের পর জমি ফেলে না রেখে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবেন বলেই জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।