গভীর সাগরে অস্ত্রসহ ৩০ জলদস্যু গ্রেপ্তার

গভীর সাগরে অস্ত্রসহ ৩০ জলদস্যু গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বঙ্গোপসাগরে দস্যুতা করে বেড়ানো তিনটি জলদস্যু দলের ৩০ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ৪৮ ঘণ্টার অভিযান শেষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম। তিনি জানান, এ সময় দুটি ট্রলার, আটটি দেশীয় অস্ত্র ও পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ৩০ জন হলো : করিম, জফুর, শফি আলম, আব্দুর রহিম, শামীম, ইউসুফ, শাজাহান বেগম, সাহাব উদ্দিন, রুবেল, শওকত, ইসমাইল, দেলোয়ার ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম সিকদার, মফিজুর রহমান, ফজল হক, গিয়াস উদ্দিন, কাছেদ, আকিদ খান, দিদারুল ইসলাম, নাইম, হারুন, ইয়াছিন, খলিলুর রহমান, ইকবাল হোসেন, শাহেদ, হোসেন, আলী হোসেন, আব্দুল মান্নান ও সোলায়মান। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

মাহবুব আলম জানান, ৩৫ থেকে ৪০ জনের তিনটি সশস্ত্র জলদস্যু চক্র একত্র হয়ে সাগরে দস্যুতার পরিকল্পনা করে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাব-৭-এর একটি আভিযানিক দল পতেঙ্গা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে তাদের গতিরোধের চেষ্টা করলে তারা র‌্যাবকে প্রতিহত করে। এক পর্যায়ে দিক পরিবর্তন করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌবন্দর এলাকার ১৫ নম্বর ঘাটের দিকে আসতে থাকে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা তাদের দুটি ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অস্ত্র, ডাকাতির মাছ, মালপত্রসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার জানান, ডাকাতি করে ফেরার পর মাছ বিক্রির ৪০ শতাংশ টাকা তাদের কথিত ‘গডফাদারদের’ দিয়ে দিতে হয় বলে গ্রেপ্তার জলদস্যুরা জানিয়েছে। ২০ শতাংশ টাকা ট্রলারের তেল খরচ রেখে বাকি ৪০ শতাংশ নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।