গোলরক্ষক বীরত্বে সিটিকে হারিয়ে সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ

গোলরক্ষক বীরত্বে সিটিকে হারিয়ে সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মতো বড় মঞ্চে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন হুলিয়ান আলভারেজের কাঁধে গুরুদায়িত্ব। লুনিনের বিপক্ষে প্রথম শটটা নিতে হবে তাঁকে, জালে বল ঢুকাতে কোনও ভুল করলেন না তিনি। কিন্তু রিয়ালের হয়ে লুকা মদ্রিচ ব্যর্থ, তাঁর শট ফিরিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন। সিটির হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে এগিয়ে যান সিলভা। সোজা লুনিনের দিকে শট নেন তিনি, জায়গায় দাঁড়িয়েই তা ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। সিলভার মতো সহজ শট নেন নি কোভাসিচ। তাঁর শটটা গিয়েছিলো কোনাকুনি। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ফিরিয়ে দেন লুনিন।

এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিটি আর কোনও ভুল করে নি, ফিল ফোডেন ও এডারসন ঠিকই জালের দেখা পান। ভুল করে নি রিয়ালও, জুদে বেলিংহ্যাম, লুকাস ভাসকেজ ও নাচোর পর জাল খুঁজে পান টনি রুডিগারও। তাতে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে উঠে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

ঘরের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করা রিয়াল মাদ্রিদ এর আগে সিটির ডেরায় লিড পেয়ে যায় ম্যাচের ১২ মিনিটে। এডারসনের কাছ থেকে ফিরে আসা বলে টাচ করে জালের দেখা পেয়ে যান রদ্রিগো। এক গোল খেয়ে ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে রিয়াল, সেই সুযোগে চাপ তৈরি করে স্বাগতিক দল। ইতিহাদে রদ্রিগোর গোলটা বাদ দিলে খেলেছে কেবল ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিই। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে সব সময়ই চাপে রেখেছে তাঁরা, বেশি চাপটা গেছে বোধহয় আন্দ্রে লুনিনের ওপর দিয়েই। তাঁর বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ সাজানো সিটি দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে। জেরেমি ডকু পাস দেন ডি বক্সের ভেতরে। রুডিগার বলটা ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সেই বল পেয়ে যান ডি ব্রুইন। লুনিনের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

৯০ মিনিট শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন ছিলো ১-১। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এ সময় প্রতিপক্ষদের চাপ তৈরি করে তাঁরা। পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন সিটির প্লেয়াররাও। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না কেউই। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য।