দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহারের কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকে নির্দেশনা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এবং পরিবেশ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৩ নভেম্বর) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে অবৈধ ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন ভাটার ইট তৈরিতে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেনো বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জারি জবাব দিতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

মনজিল মোরসেদ জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনও ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না। জ্বালানি হিসেবে ইট ভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম শুরু করছে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এই মর্মে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরে গত ১৩ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং সঞ্জয় মণ্ডল একটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে রোববার আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।

আদালত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এবং পরিবেশ সচিবকে দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের কার্যকরী নির্দেশনা দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধ হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।