নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চায় বিজিএমইএ

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প কারখানাগুলোয় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয় সংগঠনটি।

সম্প্রতি বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ১২ সেপ্টেম্বর জ্বালানি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল বিষয়বস্তু ছিলো জ্বালানি সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় বের করা। এর অংশ হিসেবে দেশের শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ভিন্ন ভিন্ন দিনে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করে আসছে। বিজিএমইএর কারখানাগুলোতেও সপ্তাহে একদিন ছুটির পরিবর্তে দুই দিন ছুটি পালন করা হচ্ছে এবং প্রাত্যহিক কাজের সময় এক ঘণ্টা কমানো হয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও জ্বালানির সাশ্রয় হচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাপ কম থাকায় এবং অনিয়মিত গ্যাস সরবরাহের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সকাল ৮টার পর থেকে গ্যাসের চাপ কমে জিরো পিএসআইতে নেমে আসে; আবার রাত ১১টার পর কিছুটা উন্নতি হয়। যার কারণে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। এতে রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী লিড টাইম মোতাবেক তৈরি পোশাক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে তৈরি করা পণ্য এয়ার শিপমেন্ট করতে হচ্ছে। এতে করে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠান ও দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ এ শিল্পটি অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে আজ অত্যাধুনিক ও নিরাপদ পোশাক উৎপাদনের সবুজ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এ খাতে ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১২.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪২.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জিত হয়। আগামী ২০৩০ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বিজিএমইএ। ফলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে জরুরি ভিত্তিতে এ খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা আবশ্যক। এসব বিবেচনায় নিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন অব্যাহত রাখা, তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে জরুরি ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।