পদোন্নতিতে শর্ত প্রয়োগে কুবি শিক্ষক সমিতির অসন্তোষ।

পদোন্নতিতে শর্ত প্রয়োগে কুবি শিক্ষক সমিতির অসন্তোষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; কুমিল্লা : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন নীতিমালায় শর্ত আরোপের বিষয়ে কোনও বিধান নেই দাবি করে বিগত কয়েকটি সিন্ডিকেটে পদোন্নতি প্রাপ্তিতে শর্ত আরোপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।

সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে শিক্ষক সমিতি। এতে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।

জানা গেছে, ৮২তম সিন্ডিকেটে কয়েকজন শিক্ষককে অবেক্ষাধীনকালের (পরীক্ষাধীনকাল) মধ্যে নির্দিষ্ট জার্নালে গবেষণা প্রকাশে ব্যর্থ হলে তাঁকে স্বীয় পদে চাকরি স্থায়ীর সুপারিশ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে একই পদে নিয়োজিতদের মধ্যে যে বা যিনি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবেন, তাঁর জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ন হবে দাবি করে শিক্ষক সমিতি এই শর্তটিকে কালো আইন বলে আখ্যায়িত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখানে অনেক শিক্ষক বিভিন্নভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন। তাই সব স্তরে অটোমেশন পদ্ধতি চালু, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত ও সব ধরনের র‌্যাঙ্ক কড জার্নালে প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত করে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি না করে এ ধরনের শর্ত আরোপ করা শিক্ষকদের উপরে নিপীড়নের শামিল।

জুলাই মাসের বেতনের সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ৩টি ইনক্রিমেন্ট প্রদানের বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছিলো দাবি করে আসন্ন সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করেছেন শিক্ষকেরা।

প্রশাসন এসব দাবি বাস্তবায়ন না করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানায় শিক্ষক সমিতি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য ভালো শিক্ষকের বিকল্প নেই। যিনি ভালো গবেষক, তিনিই ভালো শিক্ষক। গবেষণার সংস্কৃতি চালু হলে আমার শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হবে। 

তা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী শিক্ষকেরা পদোন্নতির আবেদনের জন্য যোগ্য। আবেদন গৃহীত হবে কি-না তা যাচাই-বাছাই করে বোর্ড। যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক স্কলাররা থাকেন। পাবলিকেশন ছাড়া পদোন্নতি না দেওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত। সবদিক বিবেচনা করে তাঁরা কিছু শর্ত প্রয়োগ করেছেন। এখানে আমার ভূমিকা ছিলো না।