প্রতিকেজি চিনি এখন ১০০ টাকা

প্রতিকেজি চিনি এখন ১০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : এক মাসের ব্যবধানে দুবার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবু চিনির দামে লাগাম টানতে পারছে না সরকার। এক সপ্তাহ আগে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম সমান (প্রতি কেজি ৯৫ টাকা) হয়ে গিয়েছিলো। এখন খোলা চিনি আরও ৫ টাকা বেশি, কেজি ১ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে খোলা চিনির সরবরাহ কম। আর প্যাকেটজাত চিনি সবখানে মেলেও না।

সরকার নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। তবে বাজার পরিস্থিতি ভিন্ন। এর আগে আরও একবার চিনির দাম বেঁধে দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয় নি।

রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে এখন খোলা চিনি প্রতিকেজি ১ শ টাকার নিচে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারিতে যাঁরা এই চিনি বস্তা ধরে কিনছেন, তাঁরাও ৫০ কেজির বস্তা কিনছেন ৪ হাজার ৯ শ টাকার ওপরে। সামান্য লাভ রেখে কেজি ১ শ টাকার ওপরে তা বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা চিনির সরবরাহ কম বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

মৌলভীবাজারের পাইকারি এক চিনি ব্যবসায়ী বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘মিল (রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান) থেকে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী চিনি দেওয়া হচ্ছে না। আর দামও রাখা হচ্ছে বেশি। তাতে সরকার নির্ধারিত দামে কোনোভাবেই চিনি বিক্রি করা সম্ভব নয়। এজন্য চিনির বিক্রিই বন্ধ রেখেছি।’

তবে মিল থেকে চিনি সরবরাহ ঠিক আছে বলে জানিয়েছেন মেঘনা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক এস এম মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘মিল থেকে খোলা চিনি সরবরাহ বন্ধ করা হয় নি। আর প্যাকেটজাত চিনির বিক্রি খুব বেশি নয়। তবে কয়েক মাস ধরে চিনির দাম বাড়তি। এখন সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।’

এদিকে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরকার নির্ধারিত দাম প্রতিকেজি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণ, প্যাকেটজাত চিনির দাম রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। এই সুযোগে অনেকে প্যাকেট চিনি ভেঙে আধা কেজি হিসেবে ৫০ টাকা করে কেজি প্রতি ১ শ টাকায় বিক্রি করছেন।