বর্ষবরণে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা নেই : এরপরও সতর্ক ডিএমপি

বর্ষবরণে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা নেই : এরপরও সতর্ক ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই, তবুও অতীতের সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদ্‌যাপিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএমপি’র পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে, সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। আর ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবি’র ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপি’র ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে, তাঁরা মহড়া করছে।

অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু জায়গায় ডাইভারশন দেওয়া হবে। যাঁরা গাড়ি চালাবেন, তাঁদের প্রতি অনুরোধ, যেনো পুলিশকে সহায়তা করেন।

তিনি আরও বলেন, রমনার প্রবেশমুখে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ভেতরে-বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, এসবি, অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর থাকবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রমনা পার্কে প্রবেশের সুযোগ পাবেন, এরপর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সন্ধ্যার আগে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।

আয়োজনে রক্তদানের বুথ থাকবে, পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম থাকবে, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিক্যাল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টারও থাকবে। আর ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।