বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে ডিএমপির নিরাপত্তা পরামর্শ।

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে ডিএমপির নিরাপত্তা পরামর্শ।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : পহেলা বৈশাখা ১৪২৯ উপলক্ষে সম্মানিত নগরবাসীকে নববর্ষের উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর ও হাতিরঝিল এলাকায় বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করবে। ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উল্লেখিত স্থানগুলোতে লাখো মানুষের সমাগম হবে। ডিএমপি নিউজ। পহেলা বৈশাখের পূর্বরাতে ও অনুষ্ঠানের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ওই স্থানগুলোতে নানাবিধ কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন। ঢাকা মহানগর এলাকায় বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগত জনসাধারণ যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে নববর্ষের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলা নববর্ষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই একইসঙ্গে পালনের মাধ্যমে বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করছে। সম্মানিত নগরবাসী যেনো আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন এবং উপভোগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে জনসাধারণকে নিম্নবর্ণিত পরামর্শগুলো প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি। নিরাপত্তা পরামর্শগুলো : ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং রবীন্দ্র সরোবরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ থেকে বিরত থাকুন। ২. ব্যারিকেড, পিকেট ও আর্চওয়ে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করুন। ৩. নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ড ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, পটকা, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি বহন থেকে বিরত থাকুন। ৪. মুখোশ পরিধান এবং বিজ্ঞাপনি স্টিকার বহন করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন না। ৫. মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্বেচ্ছাসেবক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং রোভার স্কাউট সদস্যদের পরামর্শ মেনে চলুন। ৬. সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তি বা বস্তু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করুন। ৭. আপনার সঙ্গে থাকা শিশুর পকেটে চিরকুটে আপনার বাসার ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর লিখে রাখুন। কোনোভাবে হারিয়ে গেলে সাব-কন্ট্রোলরুমে স্থাপিত ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ বা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। ৮. অনুষ্ঠানস্থলে আসার পূর্বেই ঠিক করে রাখুন ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে কোথায় পুনরায় মিলিত হবেন। ৯. সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবর ও হাতিরঝিল এলাকা ত্যাগ করুন। ১০. সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য নন, এমন ব্যক্তিগণ ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন না। ১১. সকল অনুষ্ঠানস্থলে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। ১২. বিকেল ২টার মধ্যে সকল উন্মুক্ত স্থানের অনুষ্ঠান সমাপ্ত করুন। ১৩. ভুভুজেলা (বিশেষ প্রকার বাঁশি) বাজানো, বিক্রয় ও বহন থেকে বিরত থাকুন। ১৪. কোনও কারণে পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবর ও হাতিরঝিল এলাকায় স্থাপিত পুলিশ সাব-কন্ট্রোলরুম, কেন্দ্রীয় পুলিশ কন্ট্রোলরুম, রমনা, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও হাতিরঝিল থানায় যোগাযোগ করুন। আর প্রয়োজনে মনে রাখুন ৯৯৯ অথবা ০১৩২০-০৩৭৮৪৫ নম্বর।