শার্শায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে

শার্শায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; মনির হোসেন, বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার ৭ নম্বর কায়বা ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মারামারিতে ৬ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে রাড়ীপুকুর গ্রামের শরিফুল মেম্বারের ঘেরের দক্ষিণ পাশে মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বাকি ৩ জনকে যশোর জেলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ঘেরের দক্ষিণ পাশে আড়াই বিঘা মাঠের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে আপন চাচাতো ভাইয়ে-ভাইয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দখলে থাকা প্রথমপক্ষ : ১. আলিমুদ্দিন (৪০), ২. ওমর খৈয়াম ও ৩. এলিজা (৩৫) সর্ব পিতা : মৃত জমাত আলী সরদার; ৪. সালেহা (৩৫) স্বামী আলিমুদ্দিন, ৫. মামুন (২১) পিতা : ওমর খৈয়াম সর্ব গ্রাম : কায়বা পশ্চিম কোটা, থানা : শার্শা, জেলা : যশোর গণ ওই সময়ে ওই জমিতে তাঁদের লাগানো ধান পূর্বে কেটে রেখে জমিতে মাড়াই করতে গেলে দ্বিতীয়পক্ষ : ১. নাসির (৫০) পিতা : আবুল, ২. পারভীনা (৪০) স্বামী : নাসির, ৩. মৌসুমী (২২) পিতা : নাসির, ৪. মনিরুল (২৮) পিতা : মৃত জোহর আলী সরদার সর্বগ্রাম কায়বা পশ্চিম কোটা, থানা :  শার্শা, ৫. জোহর আলী ওরফে সালাউদ্দিন পিতা : অজ্ঞাত, গ্রাম কানাইরালি, থানা : ঝিকরগাছা, জেলা : যশোরগণ প্রথমপক্ষকে ধান মাড়াই করতে নিষেধ করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠি সোটা এবং ধানকাটার কাচি নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।

মারামারিতে প্রথমপক্ষের আলিমুদ্দিন মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত যখমপ্রাপ্ত হয়। সালেহা ডান হাতে নীলাফোলা যখম প্রাপ্ত হয়। এলিজা দুই হাতের  কুনই হতে কবজা পর্যন্ত নীলাফোলা যখমপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে প্রথমপক্ষের আহত ভিকটিমগণ শার্শা নাভারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন এবং সকলের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। 

অপরদিকে দ্বিতীয়পক্ষের মৌসুমী মাথায় রক্তাক্ত যখমপ্রাপ্ত হয়। পারভীনা মাথায় এবং সমস্ত শরীরে নীলাফোলা যখমপ্রাপ্ত হয়। মনিরুল সমস্ত শরীরে নীলাফোলা যখমপ্রাপ্ত হয়। দ্বিতীয়পক্ষের আহত ভিকটিমগণ সকলেই আশঙ্কামুক্ত এবং আহত ভিকটিমগণ সকলেই বর্তমানে যশোর সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।

বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয় নি; তবে এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার পরবর্তীতে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

যেহেতু ওই জমিতে দ্বিতীয়পক্ষেরও ওয়ারিশ সূত্রে অংশ পাওনা রয়েছে, সেহেতু পরবর্তীতে এটাকে কেন্দ্র করে আরও বড় ধরনের মারামারিসহ খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।