যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন : মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ ও মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, একই এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. রাশেদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন : একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, আলী আকবরের ছেলে শহীদউল্লা মেম্বার, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাহাঙ্গীর সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোবারক হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। তিনি মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।