শিক্ষকের গলায় জুতার মালা : বিচারিক তদন্ত চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি হতে পারে আজ।

শিক্ষকের গলায় জুতার মালা : বিচারিক তদন্ত চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি হতে পারে আজ।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : নড়াইলের কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে।

বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রিটটি দাখিল করা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এই রিটে স্বপন কুমার বিশ্বাস ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের আরজি করা হয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) রিটটি সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করা হয় বলে জানান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। 

তিনি বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘স্বপন কুমার বিশ্বাসের ওপর আক্রমণ ও তাঁকে অপমান করার ঘটনা বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিটটি করা হয়েছে। বুধবারের কার্যতালিকায় রিটটি ৮৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এদিন রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’

গত ১৮ জুন নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করা হয়। এর আগের দিন ১৭ জুন ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুকে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ছবিসহ একটি পোস্ট দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজ শিক্ষক, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন সদস্যকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে শিক্ষার্থীকে তাঁদের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যেতে চাইলে উত্তেজিত ছাত্র ও বহিরাগতরা বাধা দেন। তখন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়। বিকেল চারটার দিকে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং ওই শিক্ষার্থীকে কলেজের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে বের করা হয়। নিচতলার কলাপসিবল গেটের সামনে আনার পর তাঁদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এসপি ও ডিসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫ জন।