শেষ ম্যাচে ১ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ এখন ৪ নম্বরে

শেষ ম্যাচে ১ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ এখন ৪ নম্বরে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে সুবিধা করতে পারলো না মুস্তাফিজুর রহমানের দল চেন্নাই সুপার কিংস। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় হার দেখেছে চেন্নাই। হারের এই ম্যাচে ১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। তাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে লখনৌয়ের অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে চেন্নাই। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় এদিন শুরুর ৯০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। রবীন্দ্র জাদেজা ফিফটি পেলেও রান তোলার গতি ছিলো ধীর। শেষের দিকে মঈন আলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যামিওতে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। এই দুজনের কল্যাণে শেষ ৪ ওভারে ৬৩ রান তোলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

১৭৭ রানের জবাব দিতে নেমে হেসে খেলেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ওপেনিংয়েই ১৩৪ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুল। এই রানের মাথায় ডি কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের অফ-কাটারে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। যদিও এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক।

লখনৌ তাঁদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় জয় থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে থাকতে। চেন্নাইয়ের আরেক বাঁহাতি পেসার মাথিশা পাথিরানার বলে রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন লোকেশ রাহুল। যাওয়ার আগে ৫৩ বলে ৮২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন। দলকে জয়ের বন্দরে নিতে আর কোনও বিপদ ঘটতে দেন নি নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টোয়নিস।

এদিন প্রথম দুই ওভারে কোনও উইকেট না পেলেও মাত্র ১৫ রান দেন মুস্তাফিজ। নিজের তৃতীয় ওভারে ডি ককের উইকেট নিলেও হজম করেন ১৩ রান। আর নিজের চতুর্থ ওভারে আরও খরুচে ছিলেন বাংলাদেশি এই পেসার। ওই ওভারে ৩টি চার খেয়ে হজম করেন ১৫ রান।

৬ ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারিদের তালিকায় এখন ৪ এ মুস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ১২ উইকেট নিয়ে দুইয়ে রাজস্থান রয়্যালসের পেসার যুজবেন্দ্র চাহালের। সমান উইকেট পেলেও গড়ে পিছিয়ে থাকায় তিনে মুম্বাইয়ের বোলার কাইল কোয়েটজের অবস্থান।