হৃদপিণ্ডে ছিদ্র নিয়ে ‘চিকিৎসাহীন’ কোটচাঁদপুরের রাবিয়া

হৃদপিণ্ডে ছিদ্র নিয়ে ‘চিকিৎসাহীন’ কোটচাঁদপুরের রাবিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; রাম জোয়ার্দার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) : হৃদপিণ্ডে ছিদ্র রয়েছে কোটচাঁদপুরের রাবিয়া খাতুনের (১৭)। বর্তমানে তাঁর মোটামুটি চিকিৎসা চললেও, তাঁর অপারেশন করাতে হবে। আর অপারেশনের মাধ্যমেই সুন্দর জীবন ফিরে পেতে পারেন রাবিয়া খাতুন।

রাবিয়ার মা সালেহা বেগম বাঙলার কাগজকে জানান, হার্টের (হৃদপিণ্ড) ছিদ্রজনিত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগছেন রাবিয়া। সম্প্রতি তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। 

তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাবিয়াকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা দেখে তাঁর ভালো চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে বলেন। অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয় নি। পরে রাবিয়াকে ভর্তি করা হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

‘তাঁর ওই অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীরা।পত্রিকা আর অনলাইনে তুলে ধরেন রাবিয়ার অবস্থা। এতে করে সমাজের কিছু দানবীর মানুষ এগিয়ে আসেন তাঁর চিকিৎসা সহায়তায়।’

রাবিয়া খাতুনের মা আরও জানান, সেই সহায়তায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের অ্যাস্টিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ডা. মাহমুদুল হাসান (সজল)-এর পরামর্শে রাবিয়ার চিকিৎসা এগিয়েছে। 

‘ডাক্তার বলছেন, অপারেশন হলে রাবিয়া সুন্দর জীবন ফিরে পেতে পারে। এজন্য অর্থের প্রয়োজন।’ 

বর্তমানে রাবিয়া খাতুন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।

সালেহা বেগম আরও জানান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর বাজার পাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তিনি। অল্প বয়সেই বিয়ে হয় তাঁর। সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক-জননী তাঁরা। তাঁদের এক মেয়ে সাথী খাতুন (২২)। আরেক মেয়ে রাবিয়া খাতুন (১৭)। পারিবারিক জীবনে বেশ সুখী ছিলো তাঁদের পরিবার। হঠাৎ করে স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে যান শহিদুল ইসলাম। থমকে যেতে থাকে সংসারের চাকা। পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় দুই মেয়ের। তখন তাঁরা বিয়ে দিয়ে দেন সাথীকে। এর মধ্যে হার্টের ছিদ্রজনিত সমস্যা ধরা পড়ে রাবিয়ার। বর্তমানে তাঁর অপারেশন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

রাবিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা পাঠাতে এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন : ০১৩১৪৪৮৪৪৪৭।

বাঙলার কাগজের কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি রাম জোয়ার্দারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁর হোয়াটস অ্যাপ নম্বর : ০১৭১৯১৯৫৫১২