হিলিতে ঘন কুয়াশায় মরে যাচ্ছে বীজতলা : সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তা

হিলিতে ঘন কুয়াশায় মরে যাচ্ছে বীজতলা : সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; শাহিনুর আলম শাহিন, হিলি : ঘন কুয়াশায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছেন হিলির কৃষকেরা। ভালো ফলনের আশায় তাঁরা আগাম বীজতলা তৈরি করলেও, ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে চারা। এতে সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার কৃষকেরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয়, সেজন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়ায় কথা জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হাকিমপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে চারা রোপণের জন্য ৩৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

খাদ্যশষ্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ হিলিতে বোরো রোপণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে বীজতলা। আমনের ফলন ভালো হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় ইরি-বোরোর ফলন ও ভালো দামের আশায় আগেভাগেই বীজতলা তৈরি করেছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘন কুয়াশা। 

অঞ্চলটি সিংহভাগ সময় ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়ে থাকায় বীজতলা বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বীজতলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না সুফল। 

উপজেলার মোল্লা বাজারের কৃষক মাহাবুল বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘পাঁচবিঘা জমির জন্য পরপর দুইবার বীজতলা প্রস্তুত করেছি। কিন্তু ঘন কুয়াশার জন্য দুইবারই বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমি ইরি-বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।’

একই গ্রামের অপর কৃষক ফারহাজুল ইসলাম বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা ফেলে দিচ্ছি। তার সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করার পরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পড়েছি।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত শীতের কারণে কিছু কিছু বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। তবে এ থেকে উত্তরণের জন্য বীজতলা থেকে পানি বের করা, নতুন করে পানি দেওয়া ও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়াসহ কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।