শুভ দীপাবলী রবি ও সোমবার
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : হিন্দু সম্প্রদায়ের আলোর উৎসব দীপাবলী রোববার (১২ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে। এইদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ঘরে ঘরে ছোট ছোট মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোর এ উৎসবে মেতে ওঠে। এবার দুইদিন ধরে চলবে এ উৎসব।
হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর থেকে পরদিন ১৩ নভেম্বর (সোমবার) দুপুর পর্যন্ত দীপাবলীর তিথি পড়েছে।
সোমবার দুপুরেই দীপাবলীর তিথি শেষ হয়ে যাওয়ায় রোববারের সন্ধ্যাকেই সঠিক সময় বলে মনে করছেন পুরোহিতরা। এ হিসাবমতে, তিথি অনুযায়ী দীপাবলী উৎসব দুইদিন হলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রোববারই উদ্যাপন করবেন আলোর এ পবিত্র উৎসব।
সনাতন বা হিন্দুধর্মে দীপাবলীতে লক্ষ্মী ও গণেশপূজার রীতি রয়েছে। শাস্ত্রমতে, এ দুই পূজার শুভদিন রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিট থেকে ৭টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। আর লক্ষ্মীপূজার মহানিশীথ কালের শুভক্ষণ রাত ১১টা ৩৯ মিনিট থেকে মধ্যরাত্রি ১২টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত।
এ তিথিতে লক্ষ্মী ও গণেশপূজা করলে ব্যক্তির জীবন অঢেল অর্থ আর সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠে। আর দীপাবলীর তিথিতে প্রজ্জ্বালিত প্রতিটি বাতি জীবনের অন্ধকার দূর করে জীবনকে করে তোলে ঝলমলে। অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীকও মনে করা হয় দীপাবলীর আলোকে।
ভারতীয় অবাঙালিরা দীপাবলীর তিথিতে করে ধনতেরাস উৎসব। তবে বাঙালিরা লক্ষ্মী ও গণেশপূজার পর উদ্যাপন করেন কালীপূজাও।
দীপাবলীর দিন রোববার মধ্যরাতেই শুরু হবে শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা বা কালীপূজা।
বাঙালি সংস্কৃতিতে কালীপূজার পাশাপাশি দীপাবলীর উৎসব গুরুত্বপূর্ণ। আলোর উৎসব দীপাবলীকে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দীপাবলী বললেও অবাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা একে দিওয়ালি বলে থাকে। ধর্মীয় এই উৎসবকে অনেকে দীপান্বিতা কালীপূজাও বলে থাকেন। কাশীনাথ রচিত শ্যামাসপর্যাবিধিগ্রন্থে এই পূজার সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে।
অশুভ অকল্যাণের প্রতীক অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় এই উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে চলছেন শত শত বছর ধরে।