এসএসএফের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী : ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

এসএসএফের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী : ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : এসএসএফ’র (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা যাতে পদ্মা সেতু না করতে পারি, সেজন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ছিলো। বর্তমানে আমাদের কাছে তথ্য আছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন যাতে আমরা না করতে পারি, সেজন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর আগে কী করবে আমাদের জানা নেই। তবে এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার (১৫ জুন) তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে ৩ বাহিনীর প্রধান এবং এসএসএফের সদস্যদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই দেশটা এগিয়ে যাক।

তিনি বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া, দারিদ্র্যের হার কমানো ও করোনা মোকাবিলায় সফলতা দেখিয়েছি।’

‘অর্থনীতির ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা থেমে যাই নি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় এসএসএফের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যাতে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই, সেটি আপনাদেরকে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এই জনগণই আমাদের সব।

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানা কষ্টের দিক তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর বয়সে কীভাবে সবকিছুর গোড়াপত্তন করে দিয়ে গেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার জীবনের কষ্টের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “‘আমরা উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কষ্ট সম্পর্কে। আর তিনি বলেন, ‘আমি এসব বলতে চাই না, তোমরা সহ্য করতে পারবে না।’ তাহলে এ থেকেই বোঝা যায় তিনি জেল জীবনে কতোটুকু কষ্ট করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানের জেলে নাকি তাঁকে খেতে দেওয়া হতো না।’”

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথাও তুলে ধরেন। তার ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টিও উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি রেপ্লিকা উপহার দেন।