কালাম আঝাদ’র কলাম : সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।
সম্পাদকীয় মত, বাঙলা কাগজ ও ডন : চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষ। মানুুষের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, তাঁদের মনের অভিব্যক্তি। ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন মানুষের মনে শুধু হতাশা এবং বিপরীতমুখী কথা। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। একজন মানুষ খেয়েপড়ে ভালো থাকবেন, এটাই আমাদের নীতি হওয়া উচিত।
মানুষের যে কয়টি পণ্য নিত্য প্রয়োজন পড়ে, তার মধ্যে সয়াবিন তেল অন্যতম। সয়াবিন ছাড়া একটি পরিবারের একটি বেলাও আমরা কল্পনা করতে পারি না। বাদ দিলাম সয়াবিনের কথা। যদি ধরি চাল, ডাল, লবণ, আটা-ময়দার কথা- তাহলেও সবগুলোর দাম এখন চড়া। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যেরই দাম কমেছে, বিপরীতে বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্যগুলোর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে দুটি কথা বলা হচ্ছে : প্রথমত, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়ত, ডলারে অস্থিরতা।
কিন্তু আমি বলবো, আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম এমন হারে কমেছে, যাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও তা প্রায় সমন্বয় হয়ে যেতো। আর এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির কারণে ডলারের বাজারও স্থিতিশীল। সুতরাং কোন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তি নেওয়া এখন যৌক্তিক?