প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ৪ সুপারিশ সিপিডির।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ৪ সুপারিশ সিপিডির।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে মোটা দাগে ৪টি সুপারিশ তুলে ধরেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।

শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর লেক শোর হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ পর্যালোচনায় ওই সুপারিশগুলো তুলে ধরেন তিনি। 

সুপারিশগুলো হলো :

  • নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর থেকে কর তুলে দেওয়া কিংবা কর কমিয়ে ফেলা, আমদানির ক্ষেত্রে এবং দেশের ভেতরের পর্যায়েও।
  • মধ্যম ও নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষকে করের বোঝা থেকে কিছুটা অব্যাহতি দেওয়া।
  • ভর্তুকির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ রাখা, যাতে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় এবং কিছুদিনের জন্য সেখানে ভর্তুকি চালিয়ে যাওয়া।
  • জনগণের জন্য বিশেষ করে দরিদ্র জনগণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রসার, এর আওতা বাড়ানো এবং পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ।

‘প্রস্তাবিত বাজেটে পাচার করা টাকা দেশে আনার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সিপিডি তা নৈতিকতা পরিপন্থি বলেই মনে’ করে উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, পাচার করা টাকা কর দিয়ে দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা হয়, এটা অনৈতিক। এটা থেকে কোনও অর্থ আসবে না। কারণ যাঁরা দেশের বাইরে টাকা পাচার করেন, তাঁরা দেশে ফিরে আনার জন্য টাকা পাচার করেন না।

এ সময় শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির উপর নজর না দিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপের প্রেক্ষিতে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার উপর জোর দেওয়ারও আহ্বান জানায় সিপিডি।

ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, আমরা শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর নজর না দিয়ে আমাদের বর্তমান অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতির যে চাপ, তার পরিপ্রেক্ষিতে যাঁরা দরিদ্র ও নিম্নআয়ের জনগণ আছেন, তাঁদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেগুলোর ওপর জোর দিতে বলেছিলাম। সেটি করতে গিয়ে যা প্রয়োজন, আর্থিক বা মুদ্রা পদক্ষেপ, সেটির মধ্যে সমন্বয় করা খুবই প্রয়োজন। আমরা প্রায়শই দেখি, এগুলোর মধ্যে কোনও সমন্বয় থাকে না।

এ সময় সিপিডির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল, সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো তোফিকুল ইসলাম খান এবং রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।