বিএনপির কোনও আন্তর্জাতিক সমর্থন নেই : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির কোনও আন্তর্জাতিক সমর্থন নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক শক্তি ও তাঁদের সমর্থন নেই। কারণ লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকে না। শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের সর্বনাশ করা ছাড়া কোনও কিছুই করতে পারে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে আবারও অন্ধকারে এবং পেছনে টেনে নিয়ে যাবে। দেশবাসীকে বলবো, বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, দেশের মানুষের কোনও উন্নতি করে নি তারা, শুধু নিজেদের উন্নতি করেছে। দুই হাতে লুটপাট করেছে। এজন্যই এখন লন্ডনে বসে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যখন বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, তারা এখন সরকার উৎখাত করতে চায়। তার মানে কি তারা আবার দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়! আমরা দেশকে বিএনপির মতো দেশকে পিছিয়ে নিই নি। ওরা আবার আসলে ভাতা বন্ধ করে দেবে, বিআরটিসি বন্ধ, কমিউনিটি ক্লিনিক চিকিৎসা বন্ধ করে দেবে।

বিএনপির এক দফা আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এক দফা আন্দোলেন করছে বিএনপি, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। কী অপরাধ আমাদের? বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে কত মৃত্যু-হত্যা-লাশ-গুম কত ঘটনা ঘটেছে। ৯১-তে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসলো, কী দিতে পেরেছিলো মানুষকে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। তাদের কাছে প্রশ্ন, আজকে বিএনপি-জামায়াতের এতো আন্দোলন কেনো? তখন খালেদা জিয়া বলেছিলো, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নাই! আমি জানতে চাই, পাগল আর শিশু তারা পেয়েছে কী না?

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলো। এজন্যই ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নমিনেশন দেয়। এই যে হত্যাকাণ্ড, তাদের পুরস্কৃত করলো কীভাবে? ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন মেনে নিই নি, ৩০ মার্চ বাধ্য হয় পদত্যাগ করতে। তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য, কারণ তারা জনগণের ভোট চুরি করেছিলো। যারা জনগণের ভোট চুরি করে, তারা কোন মুখে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে?

শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত যাদের হাতে, তারা কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? যার হাত সেনাবাহিনীর রক্তে রঞ্জিত, সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? ভোট চুরি করেছে, স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে যাদের জন্ম, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? এরা আসলে গণতন্ত্র থাকতে দিতে চায় না।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের শিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষ। খালেদা জিয়া যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এটা আমাদের করা মামলা না; এটা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা।