বাঙলার কাগজের সংবাদদাতা মানিকের জন্মদিন শুক্রবার

বাঙলার কাগজের সংবাদদাতা মানিকের জন্মদিন শুক্রবার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : নির্জনতার পূজারি মানিক হোসেন। ব্যবহারের মুগ্ধতায় হারিয়ে যান, প্রেমে পড়েন আঘাতপ্রাপ্ত জীবন বয়ে চলা মানুষের। লেখালেখির মাধ্যমে সৃজনশীল মননের উৎকর্ষ পরিচয় বহন করেন। ধীরগতি সম্পন্ন ব্যক্তিটি সাংবাদিকতা পেশায় এসে সামাজিক অবক্ষয়ের পীড়নে মাঝে মাঝেই ‘হারিয়ে যান’। বলছি, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বীরকয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া ধ্রুব নক্ষত্রের কথা। মা বাবা’র ৬ষ্ঠ সন্তান মানিক হোসেন। ২৪ নভেম্বর বাবা নূর মোহাম্মাদ সরদার এবং মা আমিনা বিবির মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি।

মানিক হোসেন হাজার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের দারিদ্র্যতার ছলাকলায় মরীচিকাময় জীবনে মেধার তালিকায় তেমন স্বাক্ষর রাখতে পারেন নি। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন। স্নাতক সম্পন্ন করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। তিনি পড়েছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন বাগমারায়। কলেজ জীবনে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কাটিয়েছেন খুলনায়। ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জীবন সম্পন্ন করেছেন রাজশাহীতে। বর্তমানে রাজশাহীতেই সাংবাদিকতা করছেন।

মানিক হোসেন বাংলাদেশ, ভারত, ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সে যুগ্মভাবে ১ নম্বর নিউজ এজেন্সি বাঙলার কাগজের রাজশাহী সংবাদদাতা।

তিনি দেশের ৯তম তালিকায় থাকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ ২৪ অনলাইন, প্রসঙ্গ নিউজ, বিডি সোশ্যাল নিউজ, ফক্সনিউজ বিডি, গ্রামীণ নিউজ, আরবিসি নিউজ, আজকের শতাব্দী, ঢাকা প্রেস নিউজে কর্মরত ছিলেন। 

রাজশাহীর স্বনামধন্য দৈনিক রাজশাহী, দৈনিক সোনার দেশ, দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন মানিক হোসেন। 

বর্তমানে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার রাজশাহীর ডিজিটাল করেসপনডেন্ট হিসেবে এবং দেশের ১০তম তালিকায় থাকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল দি ঢাকা ডিপ্লোমেটের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। এ ছাড়া মানিক হোসেন রাজশাহী বিভাগে স্টার নিউজ এজেন্সি’র দায়িত্ব পালন করছেন। 

জীবনের ৩ শতাব্দী পার করা এ সাংবাদিক রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মানিক হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকতা পেশা এখন সাধনার বিষয় নয়। সাংবাদিক সমাজের অবক্ষয় ঘটেছে। বাছ-বিছার না করেই গণমাধ্যমের অনুমোদন, সঠিক তদারকির অভাব, কার্ড ও বিজ্ঞাপন বাণিজ্যে তলিয়ে গেছে মূলধারার সাংবাদিকতা। মাথা বেঁচে দেওয়া গণমাধ্যমের হুটহাট সংবাদে দিশেহারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকতা। ভাইরাল থিম ছাড়া বর্তমানে সংবাদ তেমন নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করার কোনও সুফল আমাদের দেশে নেই। সংবাদের লিঙ্ক দেখিয়ে, তেলবাজি সংবাদ উপস্থাপন করে, মানুষের ক্যারিয়ারকে গর্তে ফেলে, নিউজের ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জন চলছে। আমার সংবাদ উপস্থাপন, আমি মনে করি আলাদা; তবে সাংবাদিকতার বাইরে নয়। এক সময় ফিচার নিউজে সুনাম অর্জন করা সম্ভব হয়েছে , উপকৃত হয়েছে গরীব-দুঃখী মানুষ, নিউজের প্রভাবে সঠিক ব্যবস্থায় সমাজে পরিবর্তন দেখা গেছে। মেধার মূল্য পেয়েছে বেকার সমাজ এমনকি অন্ধকার দূর হয়েছে সমাজ থেকেও। এখন সংবাদের পাঠক কমেছে।’

মানিক হোসেন বলেন, ‘আমি নিজে থেকে যতোটুকু পারি তুলে ধরি। আমি যে গণমাধ্যমগুলোতে কর্মরত আছি, সেগুলোতে অর্থ দিতে হয় না। এজন্য নিজেকে এবং পেশাকে টিকিয়ে রাখতে এই গণমাধ্যমগুলোতে কর্ম করছি।’

বাঙলার কাগজের রাজশাহী সংবাদদাতা মানিক হোসেনের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নিউজ এজেন্সিটির সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ।