যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটিই যুক্তরাজ্যের চাওয়া বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

সোমবার (১৪ আগস্ট) গণভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুককে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও ৫ শ জনেরও বেশি আহত হওয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাসহ তাঁর প্রাণনাশের ১৯টি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে তাঁদের বিজয় উদ্‌যাপন করেছিলো সন্ত্রাসের রাজত্ব জারি করে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি সারাদেশে গ্রামে গ্রামে ধর্ষণ ও লুটপাটের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, আমরাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি ও গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যতো তাড়াতাড়ি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে, ততোই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। আশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ মনোযোগ মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনকে ত্বরান্বিত করবে। 

প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান কক্সবাজার অঞ্চলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে।

তিনি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের মিয়ানমারে ফিরে পুনরায় কর্মসংস্থান করতে পারে।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও আঞ্চলিক বিষয়ের মতো বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং সম্পর্ক আরও সুসংহত করার আশাও প্রকাশ করা হয়।

জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।