সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত : ভেসে গেছে মৎস্য ঘের।

সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত : ভেসে গেছে মৎস্য ঘের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর ২ শ ফুট এলাকাজুড়ে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়দের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগরের ৫ নম্বর পোল্ডারের ওই অংশের বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিলো। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দূর্গাবাটিতে পাউবোর বেড়িবাঁধের প্রায় ১৫০ থেকে ২ শ ফুট এলাকায় জোয়ারের পানিতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফের জোয়ার শুরু হলে আবারও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে থাকে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দূর্গাবাটির জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। যা রাতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এরপর জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম পোড়াকাটলা, পূর্ব পোড়াকাটলা, পশ্চিম ও পূর্ব দূর্গাবাটি, আড়পাঙ্গাশিয়া, দাতিনাখালীসহ প্রায় ৫/৬টি গ্রাম নিমিষেই প্লাবিত হয়ে যায়। 

এ ছাড়া হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের লোনা পানিতে একাকার হয়ে যায়। ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ সকালে শুরু করেছিলো। তবে দুপুরের জোয়ারে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পাশের খোলপেটুয়ানদী থেকে অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করায় চর দেবে গিয়ে বাঁধ ভেঙে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগর অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে যাওয়ার কারণে প্রায় ১৫০ থেকে ১৬০ ফুট বেড়িবাঁধ ধসে পড়েছে। সকাল থেকে বাঁশ দিয়ে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিলো। তবে জোয়ার আসায় কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। পুরো দিনই জোয়ার থাকায় কাজ করার সুযোগ থাকছে না। রিংবাঁধ নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার জিওব্যাগ ও ১ লাখ সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে বলেই জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।