সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে সহযোগিতা করা হবে : র্যাব ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে সহযোগিতা করা হবে বলেই জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন।
বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেল ৩টায় বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলার সার্কিট হাউসে করা প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, সশস্ত্র সংগঠনের যারা বিপথে গিয়েছে, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে সুপথে ফিরে আসে, তাহলে তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার বিষয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, শান্তি আলোচনার পথ সব সময় খোলা আছে। তারা যদি শান্তি কমিটির মাধ্যমে নিজেরা সুপথে ফিরে আসতে না চান, তাহলে ডিসি, এসপি, এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে শান্তির পথে ফিরে আসুক। কারণ আমরা স্বাধীন দেশে রক্তপাত চাই না। আমরা চাই বিপথগামী সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ফিরে আসুক।
অভিযানে নিরপরাধ মানুষদের আটক ও খাদ্য পরিবহনে বাধা দেওয়া হচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবপ্রধান বলেন, অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই আনা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুনরায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটি অভিযানে কিছু বিধিনিষেধ থাকে; যা সবাইকে মানতে হবে। পূর্বেও কুকিচিনের সদস্যরা হাটবাজারে আসতো না। তাদের খাদ্যসামগ্রী অন্যরা সরবরাহ করেছে। সেজন্য অভিযানিক এলাকায় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু বাধানিষেধ কার্যকর আছে।
এ সময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহীনসহ বিজিবি, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জন নারী, ৪৪ জন পুরুষসহ ৬৩ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। যারা বর্তমানে কারাগারে আছে।