ডি কক-ক্লাসেন তাণ্ডবে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় দক্ষিণ আফ্রিকার
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর টানা তিন হার। জয়ের আশায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিলো বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ওইখানেই শেষ। এরপরের গল্পটা শুধুই হতাশার। কুইন্টন ডি কক ও হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটিং তাণ্ডবে বাংলাদেশকে ৩৮৩ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ধুঁকতে থাকে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্যাচ দেন রেজা হেনরিখস। মেহেদি হাসানের বলে সেই সহজ সুযোগ মিস করেন স্লিপে থাকা তানজিদ তামিম। এরপর দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার। কিন্তু সেই জুটি বড় করতে দেন নি পেসার শরিফুল ইসলাম।
দলীয় ৩৩ রানে ১৯ বলে ১২ রান করা হেনরিখসকে আউট করেন শরিফুল। তাঁর আউটের পর ক্রিজে আসা রাসি ভ্যান ডুসেনকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ডি কক।
মারমুখি ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ডি কক। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন মার্করাম। টাইগার বোলারদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার।
এরই মাঝে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মার্করাম। আর মারমুখি ব্যাটিং চালিয়ে যান ডি কক। তবে দলীয় ১৬৭ রানে ৬৯ বলে ৬০ রান করে সাকিবের বলে লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্করাম। তাঁর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা হেনরিখ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ডি কক।
১০১ বলে শতক পূর্ণ করেন ডি কক। এরপর আরও আক্রমণাত্নক হয়ে খেলতে থাকেন এই ব্যাটার। তাঁর সঙ্গে সমানতালে রান তুলতে থাকেন ক্লাসেন। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
১৩০ বলে নিজের ব্যক্তিগত দেড়শ রান পূর্ণ করেন ডি কক। এরই মাঝে ৩৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন ক্লাসেন। তবে দলীয় ৩০৯ রানে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করে আউট হন ডি কক।
ডি ককের বিদায়ের পরও আগ্রাসী ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ক্লাসেন। তাঁর সঙ্গে ঝড় তোলেন ক্রিজে আসা ডেভিড মিলার। মাত্র ২০ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের চার বল বাকী থাকতে দলীয় ৩৭৪ রানে ৪৯ বলে ৯০ রান করে আউট হন ক্লাসেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিলার ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।