বাঙলা কাগজ ও ডনে প্রতিবেদন : সেই বৃদ্ধাকে ঘর দিচ্ছেন ‘শেখের বেটি’।

বাঙলা কাগজ ও ডনে প্রতিবেদন : সেই বৃদ্ধাকে ঘর দিচ্ছেন ‘শেখের বেটি’।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; মিজানুর রহমান, নগরকান্দা (ফরিদপুর) : বাঙলা কাগজ এবং আওয়ার ডনে গত ২০ এপ্রিল ‘একটি ঘর পেলে শেখের বেটির জন্য মন খুলে দোয়া করিতাম।’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধা সবজান বেগমের খোঁজ-খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। জানা গেছে, প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ের মাধ্যমে ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) সবজান বেগমের কাছে পাঠান। এ সময় তিনি নগরকান্দার ইউএনও জেতী প্রু’র মাধ্যমে সবজান বেগমের খোঁজ-খবর নিয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, তাঁকে এরপরের খ ক্যাটাগরির মাধ্যমে অবশ্যই ঘর (বাড়ি) প্রদান করা হবে। এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ের মাধ্যমে সবজান বেগমের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আমি সবজান বেগমের বাড়ি গিয়ে তাঁর খোঁজ-খবর নিয়ে এসেছি। আর সবজান বেগমের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার পরও এরপরের অর্থাৎ ‘খ’ তালিকায় যে ঘর আসবে, সেই ঘরের একটি তাঁর ছেলে বা ছেলের বউয়ের নামে অবশ্যই দেওয়া হবে। এতে সবজান বেগম ওই ঘরে থাকতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন।’ ‘এ ধরনের মানুষের জন্য আমাদের কিছু করতে পারলে, নিজেদের কাছেও ভালো লাগে।’ এ ব্যাপারে কোদালিয়া শহিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিলু খন্দকার বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি, তাঁদের পরিবারের খোঁজ-খবর জানতাম না। তবে বাঙলা কাগজের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন অসহায় পরিবারটিকে যতোটুকু প্রয়োজন, সহযোগিতা করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই সবজান বেগমকে অবশ্যই একটি ঘর দেওয়া হবে। আর তিনি যাতে নিয়মিত ভাতাও পান, সেই বিষয়টিও অবশ্যই জোর দিয়ে দেখা হবে।’ জানা গেছে, ভাঙা ঘর যে কোনও সময় মাথার উপর পড়ে যেতে পারে। আর এমন অবস্থায়ই দিন কাটাচ্ছেন প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধা সবজান বেগম। স্বামীহারা বিধবা এ নারীর একটিমাত্র ছেলে। আবার সেই ছেলেও ভারসাম্যহীন। তাঁর ছেলে সত্তার মোল্লার ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে। ফলে সংসারে তাঁদের আয়-উপার্জন করার মতো কেউই নেই। এমন অবস্থায় এলাকার মানুষের কাছে ‘হাত পেতে’ জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহিদ নগর ইউনিয়নের খুদুরিয়া গ্রামের মৃত রাসেদ মোল্লার স্ত্রী সবজান বেগম। তাঁর বসবাস নড়বড়ে ঘরে। ঘরটি বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে জোড়াতালি দেওয়া টিনের চালায়। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরে যেমন পানি ঢুকে, আবার ঝড় হলে তো যেনো কথাই নেই। যেনো ‘বুকটা’ আর বুকে থাকে না। সবমিলে এমন ভয় হয়, যেনো মাথার উপরই ভেঙ্গে পড়লো ঘরটি। ফলে রাতে এক টুকরো শান্তিতেও ঘুমোতে পারেন না সবজান বেগম। আর স্বামী মারা যাওয়ার পর সবজান বেগম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। তবে সেই ভাতাও অজানা কারণে গত ছয় মাস ধরে পান নি তিনি।