কালাম আঝাদ’র কলাম : শেখ হাসিনা আবারও সরকার গঠন করুক

কালাম আঝাদ’র কলাম : শেখ হাসিনা আবারও সরকার গঠন করুক

সম্পাদকীয় মত, বাঙলার কাগজ : বিশ্বখ্যাত প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘টাইম’ এবার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশের ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে। প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, আসছে জানুয়ারির নির্বাচনেও শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যালটে বিপুল জনমত আসবে। কারণ তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরে আমরা বলতে চাই- এক সময় শুধু খাম্বা ছিলো, বিদ্যুৎ ছিলো না। বিদ্যুৎ নিতে গেলে পল্লী বিদ্যুৎগুলো লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিতো, কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারতো না। আর এখন বিনামূল্যে এক রকম খোঁজ করে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে; আর সেটিই করা হয়েছে। যদিও মুজিব শতবর্ষের অঙ্গীকার ছিলো সেটি, তবুও কিছু সময় পরে হলেও এখন বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে এবং লোডশেডিং নেই বললেই চলে।

প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর সবচেয়ে বড় যে কাজটি করেছেন, সেটি হলো পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক তাঁদের ঋণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পরও আমরা আমাদের নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছি। যেটি দিয়ে এখন গাড়ি এবং রেল দুটোই চলছে। এরপর আমাদের আরও একটি বড় অর্জন মেট্রোরেল। যেটি উত্তরা থেকে ইতোমধ্যেই আগারগাঁও পর্যন্ত আসছে। আর শনিবার (আগামীকাল, ৪ নভেম্বর) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগে বাংলাদেশে হচ্ছে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও প্রায় সম্পন্নের পথে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। মন্দির এবং গির্জায় ভালো পরিমাণে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। নতুন মন্দির তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে এবং পুরোনোগুলোর সংস্কার করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় অর্জন দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো পানির নিচ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। যা ইতোমধ্যেই উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের অর্থায়নে হয়েছে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরও। আর আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশি ভারতের অর্থায়নেও বাংলাদেশে বেশকিছু প্রকল্প চলমান। এই সপ্তাহেই ৩টি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ১২টি আইটি পার্কও করে দেবে।

এই যখন অবস্থা, তখন বাংলাদেশের অগ্রগতি আর ঠেকায় কে?

সেই অগ্রগতির আরও গতি আনতে নিশ্চয় বাংলাদেশের মানুষ চব্বিশের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনাকেই ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আনবেন।

এগিয়ে যাক বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ হোক বাংলা ভাষা, ছড়িয়ে পড়ুক বাংলা সংস্কৃতি।

জয় বাংলা।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, বাঙলার কাগজ।