‘খালেদার লিভার সিরোসিস। রিস্ক খুব হাই। চান্সেস অব ব্লিডিং আছে। উই ফিল হেল্পলেস।’

‘খালেদার লিভার সিরোসিস। রিস্ক খুব হাই। চান্সেস অব ব্লিডিং আছে। উই ফিল হেল্পলেস।’
ডন প্রতিবেদন : খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছে। তাঁর লিভারে কয়েক দফায় ব্লিডিং (রক্তপাত) হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ব্লিডিং হয় নি। আগামী ১ সপ্তাহ পর বা ৬ সপ্তাহ পর আবারও ব্লিডিং হতে পারে। আর ১ সপ্তাহ পর যে ব্লিডিং হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, সেটি এখনকার চেয়ে ৫০ শতাংশ এবং ৬ সপ্তাহ পর ব্লিডিং হলে ৭০ শতাংশ বেশি ব্লিডিং হতে পারে। আর ওই ব্লিডিংগুলো নিয়ন্ত্রণ করার সম্ভাবনা খুবই কম। আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। এ সময় খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের ৬ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১৬ দিন পর এ ব্রিফিং করা হলো। এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘উই ফিল হেল্পলেস।’ ‘তাঁর রিস্ক খুব হাই। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার জন্য আর্টিফিসিয়াল চিকিৎসা পদ্ধতি ‘টিপস’ প্রয়োজন। যার মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা হবে। ‘এই উপমহাদেশে টিপস পদ্ধতি তো নেই-ই এবং বিশ্বের খুব কম সেন্টারেই তা করা হয়।’ এ সময় জানানো হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিসহ অল্প কয়েকটি দেশেই সম্ভব। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার ভর্তি হন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হন তিনি। সেখানে তাঁর চিকিৎসায় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছে। তাঁর চিকিৎসায় রাজধানীর আরও কমপক্ষে দুটি বড় বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া চিকিৎসক নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রায় সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতালে অবস্থান করছেন।