জ্বালানি ডিজেল রেখেই মনপুরা দ্বীপে হচ্ছে হাইব্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র!

জ্বালানি ডিজেল রেখেই মনপুরা দ্বীপে হচ্ছে হাইব্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র!

নিজস্ব প্রতিবেদন ও সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; ভোলা : ভোলার মনপুরা দ্বীপের জন্য ৩ মেগাওয়াট (এসি) ডিজেল-ব্যাটারি-সোলার সম্বলিত হাইব্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) বিদ্যুৎ ভবনে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ও ওয়েস্টার্ন মনপুরা সোলার পাওয়ার লিমিটেডের (ডব্লিউএমএসপিএল) সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডল ও ওজোপাডিকোর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সচিব মো. আলমগীর কবির এবং ডব্লিউএমএসপিএলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বশির আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনের জ্বালানি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সরকার নানাভাবে সহযোগিতা করছে। মনপুরার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অনেক দিক থেকেই অন্যরকম। সোলারের সঙ্গে ব্যাটারি এবং ডিজেল থাকবে। তবে কোনও অবস্থায় ডিজেল থেকে ১০ ভাগ বিদ্যুতের বেশি উৎপাদন করা যাবে না।’

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আরও বিদ্যুৎ পেলে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সহজ হতো। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উক্ত এলাকার জনগণ গ্রিডের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ পাবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ওজোপাডিকোর চেয়ারম্যান সেলিম আবেদ, স্রেডার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক মো. মতিউর রহমান।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০ বছর মেয়াদি এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ হাজার কিলোওয়াট/আওয়ার বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। মনপুরা দ্বীপের ২০ হাজার ৪৮৩ জন গ্রাহক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারি মূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। ফলে ওই দ্বীপে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটবে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র ডিজেল ছাড়া নবায়নযোগ্য বা অন্য শক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।