নাসা ছাড়লো কৃষ্ণগহ্বরের ‘গানের রিমিক্স’।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : প্রায় দুই দশক ধরে পার্সিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জের কেন্দ্রে থাকা কৃষ্ণগহ্বরের দিকে কান পেতে ছিলো নাসা। অবশেষে সেই কৃষ্ণগহ্বরের ‘গানের রিমিক্স’ ছেড়েছে নাসা। আর সে গান শুনে সমালোচকরা বলছেন, এতো পুরোই ভূতুড়ে গান!

শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও, পার্সিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জের কৃষ্ণগহ্বরের আওয়াজকে ‘রিমিক্স’ বলে বর্ণনা করেছে খোদ নাসাই। তবে, বাস্তবিক অর্থে গান গায় না কৃষ্ণগহ্বরটি।

কৃষ্ণগহ্বর থেকে ক্রমাগত আসতে থাকা চাপ প্রবাহ নক্ষত্রপুঞ্জটির উত্তপ্ত গ্যাসে কম্পন সৃষ্টি করছিলো; যা প্রথমে গানের স্কেল বা স্বরগ্রাম হিসেবে অনুবাদ করেছিলো নাসা। তারপরও মানুষের শ্রবণশক্তির বাইরেই রয়ে গিয়েছিলো ওই কৃষ্ণগহ্বরের ‘গান’।

তাই গানের স্বর বা মিউজিকাল নোট সি (C)-এর প্রায় ৫৭ অকটেভ নিচের আওয়াজকে সম্পাদনা করে মানুষের শোনার উপযোগী করে প্রকাশ করেছে নাসা। আর এ কারণেই অডিও ফাইলটিকে ‘রিমিক্স’ বলে আখ্যা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।

আর সেই ‘রিমিক্স’ শুনে খানিকটা হলেও চমকে উঠছেন শ্রোতা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আর সমালোচকেরা কৃষ্ণগহ্বরের আওয়াজ শোনার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে ‘ভূতুড়ে’ শব্দটি ব্যবহার করছেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট নাসার রিমিক্সকে বলেছে ‘কসমিক হরর’। আর কৃষ্ণগহ্বরের গান শুনতে ‘অলৌকিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের সংবাদকর্মীরা।

পার্সিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জের অবস্থান পৃথিবী থেকে ২৪ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। এক কোটি ১০ লাখ আলোকবর্ষ প্রস্থের নক্ষত্রপুঞ্জটি উত্তপ্ত গ্যাসের চাদরে আবৃত।