মঙ্গলবারের বিশেষ : ঘনমাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে কালো তরমুজ চাষে সাফল্য।

মঙ্গলবারের বিশেষ : ঘনমাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে কালো তরমুজ চাষে সাফল্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সদরে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘনমাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে কালো তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন একজন কৃষক।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি গ্রামের কৃষক আবু জাফর বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি তরমুজের চাষাবাদ করেছি। ২৫ শতক জমিতে ৪ শটি কারিশমা জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছে। চারা রোপণের ২ মাস পর আমি ফল বিক্রি শুরু করেছি।’

আবু জাফর জানান, ২৫ শতক জমিতে তাঁর মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এখনো পর্যন্ত ১ শ টাকা কেজি দরে ৩ শ কেজি তরমুজ বিক্রি করেছেন।

কৃষক বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আমার যে পরিমাণ গাছ আছে, তা থেকে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার কেজি ফলন পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক দাম হবে ১ লাখ টাকারও বেশি।’

সিরাজগঞ্জ সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘনমাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে কালো জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।’

তরমুজ অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ আছে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারিশমা জাতের হাইব্রিডের তরমুজ চাষে অল্প সময় ও খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। ঘনমাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ১ হাজার থেকে ১২ শটি কারিশমা জাতের বারোমাসি তরমুজের চারা রোপণ করা যায়। রোপণের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই এই জাতের তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়। এক থেকে দেড় ফিট দূরত্বে রোপণকৃত প্রতিটি গাছে ফল হয় ৩ থেকে ৪টি। প্রতিটির ওজন আড়াই থেকে ৩ কেজি।

কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে চাষাবাদ করে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এ জাতের তরমুজ বারোমাস চাষ করা যায়। কারিশমা জাতের তরমুজের বাজারমূল্যও বেশি। উপজেলার কৃষকদের কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বেশি পরিমাণে চাষাবাদ হলে আমরা এর জন্য একটা বাজার তৈরি করতে পারবো। এতে করে কৃষকরা খুব সহজেই ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।’