ফাস ফিন্যান্সে ১৩২৯ কোটি টাকার জালিয়াতি

ফাস ফিন্যান্সে ১৩২৯ কোটি টাকার জালিয়াতি

ডন প্রতিবেদন : ভুয়া কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে ফাস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ১ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কম্পিউটারে প্রথমে নামসর্বস্ব ২০টি কোম্পানির প্যাড বানানো হয়। আদতে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনও অস্তিত্বই নেই। ভুয়া এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ আবেদন করে ফাস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বিপুল এ অংকের অর্থ। দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) অনুসন্ধান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ১২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এ জালিয়াতির তথ্য। ফাস ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালে ওই অর্থ সরিয়ে নেওয়া হয়। দুদকের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বর্ণ এন্টারপ্রাইজ, এনবি, মেরিন ট্রাস্ট, মুন ইন্টারন্যাশনাল, হাল ইন্টারন্যাশনাল, দ্রিনান এন্টারপ্রাইজসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের নামে ১ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ফাস ফিন্যান্স থেকে ঋণের নামে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতির ঘটনায় সোমবার (১৬ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির সহকারি ব্যবস্থাপক নিয়াজ আহমেদ ফারুকী, দীপক কুমার চক্রবর্তীসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধিন একটি টিম। জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তারা বলছেন, পরিচালনা পর্ষদসহ ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশেই ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যেক কর্মকর্তার দায়-দায়িত্ব নির্ধারিত করে দেওয়া আছে। তাই অনিয়মের দায় কোনও কর্মকর্তাই এড়াতে পারেন না। ‘তাঁদেরকে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হলে, তাঁরা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে পারতো। প্রয়োজনে তাঁরা তাঁদের পরিচয় গোপন রাখতো পারতো।’ জালিয়াতির ব্যাপারে দুদক সচিব জানিয়েছেন, জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ এখন তাঁদের হাতে। এ ঘটনায় পলাতক পি কে হালদারের দায় আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখছে দুদক।